
তহিদুল ইসলাম যশোর//
যশোর মণিরামপুর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় অতিরিক্ত রৌদ্র-ও যেনো হার মানছে কৃষকের কাছে,স্বপ্ন দেখছে ভালো ভাবে ধান ঘরে উঠানোর,কেউ কেউ ঈদ কে সামনে রেখে ধান কেটে সেই ধান বিক্রি করে সন্তানের নতুন পোশাক কিনতে চায়।হাকোবা গ্রামের কয়েক জন কৃষক রমেশ মন্ডল শিব পদ রায়,পীর আলী গাজী,শামসুর রহমান,গোলাম হোসেন,ওমর আলী,আঃ গফফার, আঃ রফিক,ফারুক হোসেন, দৈনিক আশ্রায় প্রতিদিন কে জানায় এবার বেশি একটা ঝড়ো হাওয়া হয়নি,ফলে ধানের গাছ ঠিকঠাক থাকায় ধান পুষ্টিকর হওয়ায় কাঠা প্রতি ৫০/ থেকে ৬০কেজি পর্যন্ত ধান হবে বলে আশা করেন।তবে বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ায়,সেচ মালিকদের দিতে হবে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।যাহা গত মৌসুমের চেয়ে দ্বিগুণ।বীজ তলা থেকে শুরু করে ধান রোপন করা পর্যন্ত সার কীটনাশক সহ বিভিন্ন খরচ দাড়িয়েছে কাঠা প্রতি ৯০০ শত টাকা। ধান ঘরে আনতে খরচ দাঁড়াবে মন প্রতি প্রায় ১১/১২ শত টাকা।বাজার মুল্য যদি সঠিক থাকে, তাহলে আগামীতে বেশি ধান চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন চাষীরা।শ্যামকুড় ইউনিয়নের কৃষক রফিক, মেহেদী পারভেজ,মাসুদ রানা আবু রায়হান, জাহাঙ্গীর হোসেন,মহিদুল ইসলাম সহ অনেক কৃষক গণমাধ্যম কে জানায় আমরা এবার বেশি ফলন পেয়েছি,আল্লাহ রহমতে এবার লাভবান হবো।
হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য প্রণাব কুমার বিশ্বাস জানায় এবার কুচলিয়া দেবাশীষ এর মৎস্য ঘেরের ধান, দেড়শো বিঘা জমিতে মাত্র আধা কেজি পটাশ সারে বাম্পার ফলন হয়েছে গত দুই বছর জলবদ্ধতার কারণে ফসল হইনি।এবার বৃষ্টি না হওয়ায় ভবদহ এলাকায় অনেক জমিতে ধান চাষ করেছে।ভাল ধান হওয়ায় লাভজনক হবে বলে আশা করছে হরিদাস কাটি ইউনিয়নে পূর্ব অঞ্চলের কৃষক। মণিরামপুর পশ্চিম অঞ্চল এনায়েতপুর শৈলী তেতুলিয়ার মাঠে ধান কাটা কালিন আলমগীর হোসেন নামে এক কৃষকের সাথে ধান চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি গণমাধ্যম কে জানায় ২বিঘা পাঁচ কাঠা ধান চাষ করেছি অন্য বারের তুলনায় এবার ধান ভালো হয়েছে।ইনশাআল্লাহ এবার কাঠা প্রতি ৫০/৬০ কেজি ধান ছাড়িয়ে যাবে আশা করি। নেহালপুর ইউনিয়নের মোল্যা পাড়ার জালাল মোল্যা গণমাধ্যম কে জানায় এবার ধান অন্য বারের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর কাঠা প্রতি ৫০/৬০ কেজি করে হবে বলে আঁশা করি।ঝাপা ইউনিয়নের রাকিব হোসেন জানায় আমাদের ঝাপা বাওড়ের দুই ধার দিয়ে ধান চাষ করেছে।
অল্প খরছে এবার ধান বাম্পার ফলন হয়েছে।চালুয়াহাটী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য, আমজেদ আলী জানায় আমাদের মাঠে ধান বাম্পার ফলন হয়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের মোবারক পুর মাঠ জুড়ে ধান চাষ হয়েছে।সরকার বিনা মুল্যে সার,বীজ দিয়েছিলেন অনেক কৃষক কে।বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সারের জন্য হাহাকার ছিলো টাকা দ্বিগুণ হলেও মেলেনি সার।সেখানে আমাদের মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমলে সারের জন্য দিতে হয়নি লম্বা লাইন।সার কেনার জন্য দিতে হয়নি মোটা অংকের অর্থ। বিএনপি সরকার আমলে সারের কার্ড করার জন্য দিতে হতো ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।সেখানে আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষকের দোর গরায় সার পোচ্ছে দিয়েছেন।এখন সারের জন্য খেতে হয়না গুলি,দিতে হয় না জীবন। আমরা কৃষক আমরা ধান চাষ করি সেই ধানের চাউল দেশের সব জায়গায় যাই।আমরা সরকারের নিকট আশা করি তিনি ধানের নেয্য দাম নির্ধারণ করবেন।