রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
মছদ্দর আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ও নেই কোন তালিকায় নাম বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ সোকেন মানবতার জীবন যাপন করছে দেখার কেউ নেই ভাঙা পা নিয়েই অটো ভ্যান চালাচ্ছেন রাশেদ শার্শায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ইসলামপুরে শিবিরের সুধী ও জননশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত  একটি গাভীর তিনটি বাছুরের জন্ম কুরআনের আইন ছাড়া মানুষের শান্তি হবে না রৌমারীতে ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত রাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ যশোরে কুয়াদায় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত হবিগঞ্জে হত্যা ও নাশকতার মামলায় ২জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত যশোরের রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঝিকরগাছায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা ফুলবাড়ীতে শহীদি মার্চ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি  বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে রামগজ্ঞের বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পাটগ্রামে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন রৌমারীতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক যশোরের পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা নড়াইলে কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২  সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে “এক টাকায় বাজার” নড়াইলে সড়কও জনপদ বিভাগের আওতায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু যশোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে- এড. শহীদ মোহম্মদ ইকবাল হোসেন আজ সাতসকালে ছত্তিশগড়ে গভীর জঙ্গলে সি আর পি এফের গুলিতে খতম ৯ মাওবাদী দেশের আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি

যশোর জেলা থেকে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যের হুক্কা

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
সময় রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

এস,এম রাকিব রাফসান, ডেস্ক রিপোর্টঃ
যশোরের  জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে  চার যুগ আগেও জনপ্রিয় ধুমপানের একমাত্র মাধ্যম ছিল হুক্কা। আবহমান বাংলার গ্রাম গঞ্জের ধুমপায়ীরা হক্কার মাধ্যমে তামাকপানে অভ্যস্ত ছিলেন। কৃষক শ্রমিক দিনমজুর থেকে শুরু করে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত হুক্কার প্রচলন ছিল সর্বত্র। এ  জেলার প্রবীন মানুষেরা এ হুক্কার মধ্যে খুঁজে পান ইতিহাস ঐতিহ্য আর মাটির গন্ধ। সেই সাথে স্থানীয় জমিদার ও বিভিন্ন গ্রামের মোড়লরাসহ এ জেলার কৃষকেরা নানা ভাবে তামাক তৈরী করে হুক্কার টান দিয়ে পরম আনন্দে তৃপ্তির স্বাদ নিতো। আর এতেই ক্লান্তি কেটে পরিতৃপ্ত হতো সবাই। কিন্তুু কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী হুক্কা।
প্রায় ৪০বছর আগেও বৃহত্তর মনিরামপুর উপজেলা সহ  প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ঘরে হুক্কার প্রচলন ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তুু এখন এ জেলা উপজেলা এবং গ্রামগুলোতে বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবেনা গ্রাম—বাংলার ঐতিহ্যের সেই হুক্কা। এ জেলার বিভিন্ন  গ্রামের বৈঠকখানা গুলোতে বসে পালাক্রমে হুক্কা টানতো বিভিন্ন বয়সের পুরুষেরা। সে সময়ের বিত্তবানদের বাড়িতে ছিল নলের হুক্কা। চেয়ারে গা হেলিয়ে আয়েশী ভঙ্গিতে গৃহকর্তা নলের পাইপ মুখে দিয়ে যখন জমিদারি ভঙ্গিমায় হুক্কায় টান দিতেন তখন এ দৃশ্য পানে অপলক চোখে চেয়ে থাকতেন বৈঠকখানায় আগত মেহমানরা।
তামাক পাতা টুকরো টুকরো করে কেটে চিটাগুড় মিশ্রন করে তৈরী করা হয় হুক্কার প্রধান উপাদান তামাক। মাটির তৈরী কল্কির উপর তামাক রেখে টিক্কায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে নিঃসরিত ধোঁয়া হুক্কার তলনির পানিতে ডুবিয়ে কুড়–ত কুড়–ত শব্দ বের হয়ে আসতো।  তা থেকে একপ্রকার সুগন্ধি ও বের হতো। হুক্কার শব্দে দুর থেকে বুঝা যেত আশেপাশে কেউ হুক্কা টানছে। এখন আর সেই চিরাচরিত পরিচিত দৃশ্যটি চোখে পড়ে না। কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে গ্রাম—বাংলার সেই ঐতিহ্যের হুক্কা।  যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হুক্কার স্থান দখল করে নিয়েছে বিড়ি, সিগারেট, হিরোইন, ইয়াবা, গাজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। এসকল বিড়িও সিগারেটের মধ্যে ক্ষতিকর নিকোটিন রয়েছে শতভাগ। তারপরও বিড়ি সিগারেটসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য নেশায় নতুন করে আসক্ত হয়ে পড়ছে লক্ষ লক্ষ উঠতি বয়সের যুবকরা। যাদের নিয়ে সিংহভাগ অভিভাবক সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন। এ ব্যাপারে মণিরামপুর  উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের বিশ্বনাথ অধিকারি (৮৫) জানান, তিনি একটানা ৫৫ বছর ধরে হুক্কা দিয়ে ধুমপান করেছেন।  সে সময় এলাকার সবাই প্রায় হুক্কা খেতো। এখন হুক্কা ছেড়ে দিয়ে বিড়িও সিগারেট খাই।
এ ছাড়া সদর উপজেলার প্রবীন গফুর গাজী, বিনয় কামার জানান হুক্কা খেলে নাকি সাধারণ সর্দি জ্বর ব্যথা ইত্যাদি রোগ বালাই ও নাকি কম হয়। তিনি আরও জানান তিনি এখনও মাঝে মাঝে হুক্কা খেতে চান, কিন্তু কালের আবর্তে সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠে না।
ফটো: সাংবাদিক আদিত্য অনিক নাজমুল হাসান। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!