শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
যশোরে লাঙ্গল গরু দিয়ে হাল চাষ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে  রাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় আটক ৩ মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শন করেন এমপি ইয়াকুব আলী কালীগঞ্জে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের মিছিল কালীগঞ্জে যৌতুকের জন্য চুল কেটে দিল স্বামী সতীঘাটা এয়াজ বদল জমিতে অভিনব কায়দায় গাছ রোপন   শার্শায় রুদ্রপুর এলেকায় মারা হলো বিষধর রাসেল ভাইপার কেশবপুর পশুহাটের গাছ টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করলেন মেয়র রফিকুল ইসলাম! সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে বৃক্ষরোপন ও চারাগাছ বিতরণ শহীদ ইমাম হুসাইন (আঃ) শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল যশোরে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নড়াইলে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আবার নারীর লাশ উদ্ধার   নড়াইলে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদান    নড়াইলে পুকুরে ডুবে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু রৌমারীতে দাঁতভাঙা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আজ ১০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরি পবিত্র আশুরা সিরাজগঞ্জে পুলিশ ও কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৫ পুলিশ যৌক্তিক কোটা সংস্কারের দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে যশোরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ কুয়াদায়   সুদে কারবারিদের অত্যাচারে বৃদ্ধের  বিষপানে আত্মহত্যা যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১০ বোতল ফেন্সিডিল নগদ অর্থ উদ্ধারসহ গ্রেফতার -১ সিরাজগঞ্জ তাড়াশে কাপড়ে মোড়ানো এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার  ময়মনসিংহে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ  কেশবপুরে পৌরসভা পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক ব্র্যাকের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে দলিত জনগোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত উপজেলা চেয়ারম্যানের-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও সংবর্ধনা মুচলেকা দিয়েই মুক্তি মাটি খেকো মিনারুলের মশ্বিমনগর ইউনিয়নের মাদক সম্রাট যুবদলের নেতা রাতুলের হাতে জখম একাধিক আঃ লীগ নেতা নড়াইলে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ধীরগতিতে কমছে, বানভাসিরা খাদ্য সংকটে কুয়াদায় সরকারী বরাদ্দকৃত সার অভিনব কায়দায় বিক্রির অভিযোগ 

যশোর জেলা থেকে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যের হুক্কা

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ৩০ বার পড়া হয়েছে
সময় শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

এস,এম রাকিব রাফসান, ডেস্ক রিপোর্টঃ
যশোরের  জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে  চার যুগ আগেও জনপ্রিয় ধুমপানের একমাত্র মাধ্যম ছিল হুক্কা। আবহমান বাংলার গ্রাম গঞ্জের ধুমপায়ীরা হক্কার মাধ্যমে তামাকপানে অভ্যস্ত ছিলেন। কৃষক শ্রমিক দিনমজুর থেকে শুরু করে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত হুক্কার প্রচলন ছিল সর্বত্র। এ  জেলার প্রবীন মানুষেরা এ হুক্কার মধ্যে খুঁজে পান ইতিহাস ঐতিহ্য আর মাটির গন্ধ। সেই সাথে স্থানীয় জমিদার ও বিভিন্ন গ্রামের মোড়লরাসহ এ জেলার কৃষকেরা নানা ভাবে তামাক তৈরী করে হুক্কার টান দিয়ে পরম আনন্দে তৃপ্তির স্বাদ নিতো। আর এতেই ক্লান্তি কেটে পরিতৃপ্ত হতো সবাই। কিন্তুু কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী হুক্কা।
প্রায় ৪০বছর আগেও বৃহত্তর মনিরামপুর উপজেলা সহ  প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ঘরে হুক্কার প্রচলন ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তুু এখন এ জেলা উপজেলা এবং গ্রামগুলোতে বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবেনা গ্রাম—বাংলার ঐতিহ্যের সেই হুক্কা। এ জেলার বিভিন্ন  গ্রামের বৈঠকখানা গুলোতে বসে পালাক্রমে হুক্কা টানতো বিভিন্ন বয়সের পুরুষেরা। সে সময়ের বিত্তবানদের বাড়িতে ছিল নলের হুক্কা। চেয়ারে গা হেলিয়ে আয়েশী ভঙ্গিতে গৃহকর্তা নলের পাইপ মুখে দিয়ে যখন জমিদারি ভঙ্গিমায় হুক্কায় টান দিতেন তখন এ দৃশ্য পানে অপলক চোখে চেয়ে থাকতেন বৈঠকখানায় আগত মেহমানরা।
তামাক পাতা টুকরো টুকরো করে কেটে চিটাগুড় মিশ্রন করে তৈরী করা হয় হুক্কার প্রধান উপাদান তামাক। মাটির তৈরী কল্কির উপর তামাক রেখে টিক্কায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে নিঃসরিত ধোঁয়া হুক্কার তলনির পানিতে ডুবিয়ে কুড়–ত কুড়–ত শব্দ বের হয়ে আসতো।  তা থেকে একপ্রকার সুগন্ধি ও বের হতো। হুক্কার শব্দে দুর থেকে বুঝা যেত আশেপাশে কেউ হুক্কা টানছে। এখন আর সেই চিরাচরিত পরিচিত দৃশ্যটি চোখে পড়ে না। কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে গ্রাম—বাংলার সেই ঐতিহ্যের হুক্কা।  যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হুক্কার স্থান দখল করে নিয়েছে বিড়ি, সিগারেট, হিরোইন, ইয়াবা, গাজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। এসকল বিড়িও সিগারেটের মধ্যে ক্ষতিকর নিকোটিন রয়েছে শতভাগ। তারপরও বিড়ি সিগারেটসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য নেশায় নতুন করে আসক্ত হয়ে পড়ছে লক্ষ লক্ষ উঠতি বয়সের যুবকরা। যাদের নিয়ে সিংহভাগ অভিভাবক সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন। এ ব্যাপারে মণিরামপুর  উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের বিশ্বনাথ অধিকারি (৮৫) জানান, তিনি একটানা ৫৫ বছর ধরে হুক্কা দিয়ে ধুমপান করেছেন।  সে সময় এলাকার সবাই প্রায় হুক্কা খেতো। এখন হুক্কা ছেড়ে দিয়ে বিড়িও সিগারেট খাই।
এ ছাড়া সদর উপজেলার প্রবীন গফুর গাজী, বিনয় কামার জানান হুক্কা খেলে নাকি সাধারণ সর্দি জ্বর ব্যথা ইত্যাদি রোগ বালাই ও নাকি কম হয়। তিনি আরও জানান তিনি এখনও মাঝে মাঝে হুক্কা খেতে চান, কিন্তু কালের আবর্তে সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠে না।
ফটো: সাংবাদিক আদিত্য অনিক নাজমুল হাসান। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!