
মোঃ বুলবুল হোসেন:
পহেলা বৈশাখ, সোমবার মির্জাপুরে সবুজায়ণ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে বাইমাইল উত্তরপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে মীর দেওয়াটা মল্লিকপাড়া মোহাম্মাদিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসাতেও বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সবুজায়ণ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি মোঃ বুলবুল হোসেন, সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, বাইমাইল উত্তর-পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ একমাত্র হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, হারিয়েছি বায়ুর মিষ্টি স্নিগ্ধতা, বায়ুমণ্ডল আজ বিষযুক্ত। তবে আমরা চাইলে আবারও পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে পারি, বাতাসকে করতে পারি নির্মল। বৈশাখ এসেছে আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতিকে নতুন করে শুচি করে তুলতে। শুভ নববর্ষ ১৪৩২। গাছের পাতার ফাঁক গলে প্রখর রোদের ঝলক জানান দিচ্ছে, প্রকৃতি নিজেই বৈশাখের দুয়ার খুলে দিয়েছে।
বৈশাখের প্রতীক কৃষ্ণচূড়ার ডালেও লেগেছে আগুন। নতুনের এই আবাহনে রবীন্দ্রনাথের সেই চিরায়ত সুর যেন প্রাণে প্রাণে দ্যোতনা তোলে এসো হে বৈশাখ, এসো এসো হে।
তিনি বাংলা সনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, মোগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ বা ১১ মার্চ। তবে এটি কার্যকর হয় তার সিংহাসনে আরোহণের সময় অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। এর পূর্বে মোগল বাদশাহরা রাজকার্য ও নথিপত্রে হিজরি চান্দ্র সন ব্যবহার করতেন, যা বছরে প্রায় ১১ দিন কম হয়। কৃষকদের কাছ থেকে ফসলের মৌসুম অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজনে একটি অভিন্ন সৌর বছরের প্রয়োজন ছিল বলেই বাংলা সনের প্রবর্তন ঘটে।
সভাপতি আরও বলেন, বর্তমানে অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। তবে সবুজায়ণ সমাজ কল্যাণ সংগঠন একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে, যা পরিবেশ রক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতার এক অনন্য বার্তা বহন করে।