রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
মছদ্দর আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ও নেই কোন তালিকায় নাম বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ সোকেন মানবতার জীবন যাপন করছে দেখার কেউ নেই ভাঙা পা নিয়েই অটো ভ্যান চালাচ্ছেন রাশেদ শার্শায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ইসলামপুরে শিবিরের সুধী ও জননশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত  একটি গাভীর তিনটি বাছুরের জন্ম কুরআনের আইন ছাড়া মানুষের শান্তি হবে না রৌমারীতে ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত রাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ যশোরে কুয়াদায় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত হবিগঞ্জে হত্যা ও নাশকতার মামলায় ২জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত যশোরের রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঝিকরগাছায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা ফুলবাড়ীতে শহীদি মার্চ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি  বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে রামগজ্ঞের বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পাটগ্রামে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন রৌমারীতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক যশোরের পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা নড়াইলে কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২  সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে “এক টাকায় বাজার” নড়াইলে সড়কও জনপদ বিভাগের আওতায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু যশোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে- এড. শহীদ মোহম্মদ ইকবাল হোসেন আজ সাতসকালে ছত্তিশগড়ে গভীর জঙ্গলে সি আর পি এফের গুলিতে খতম ৯ মাওবাদী দেশের আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি

গাজীপুরে নৌকা পরাজয়ের একাধিক কারণ 

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ৩১ বার পড়া হয়েছে
সময় রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

আলিফ আরিফা,গাজীপুর প্রতিনিধি:

নানা হিসেব-নিকেশ ও জল্পনা-কল্পনার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জিতে বিজয়ের হাসি হাসছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন। এই পদে হেভিওয়েট প্রার্থী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে নগর ভবনের চাবি পেলেন তিনি। ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তি ইমেজ ও সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালবাসার কারণেই জায়েদা খাতুনের বিজয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তার আমজনতা।

পক্ষান্তরে আলোচনা চলছে নৌকা প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে। নানা বিচার-বিশ্লেষণ আর আলাপ-আলোচনার মধ্যে মোটাদাগে উঠে আসছে আওয়ামীলীগের অন্তঃকোন্দল, দলীয় বিভাজন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক ভোটারদের বড় ভূমিকার কথা। শনিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপে উঠে এসেছে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পরাজয়ের নেপথ্যের বহু কারণ।

আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন- গাজীপুর মহানগরে আওয়ামীলীগের দলীয় বিভাজন আছে। দীর্ঘদিনেও ওই বিভাজন শেষ করা যায়নি। উল্টো এক পক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করতেই ব্যস্ত থাকতো অধিকাংশ সময়। এর রেশ পড়েছে এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। বিশেষ করে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিস্কারের পর মহানগর আওয়ামীলীগ কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য পদধারী নেতাকে দল থেকে কেন বহিস্কার করা হবে না, এই মর্মে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। গত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পরেও এ পর্যন্ত মহানগর কমিটি গঠন করতে না পারার বিষয়টিও আওয়ামীলীগের পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে।

এমন অবস্থায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামীলীগের তৃণমূলের একটি অংশ জাহাঙ্গীরের পক্ষে চলে আসে। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে নৌকার ব্যাজ পড়লেও গোপনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের পক্ষে কাজ করেছেন। এমন অভিযোগে নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও দলের তিনজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে আটজন নেতা-কর্মীকে। এছাড়া পুলিশ দিয়ে আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল এই দলীয় কোন্দল ও বিভাজন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যে- নির্বাচনের দিন কেন্দ্রগুলোতে নৌকার কর্মীদের আধিক্য থাকলেও দিনশেষে সেখানে জয়ী হয় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের ঘড়ি প্রতীক। মূলত আওয়ামীলীগের অনেক নেতা-কর্মীই নৌকার লোক বেশে ভোট দেন জায়েদা খাতুনকে। ভোটের আগে অভিযোগ ওঠে, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন, সেজন্য ভোটের এক সপ্তাহ আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ও ঘরছাড়া করা হয় অনেককে। তবে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য জায়েদা খাতুনের ভোটার ও কর্মী সমর্থকরা কৌশল হিসেবে গলায় নৌকার ব্যাজ ও হাতে নৌকার ভোটার স্লিপ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর এই কৌশলের কাছে হেরে যান আজমত উল্লা খান।

জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার মতে- নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েন। তারা নিশ্চিত ছিলেন চাপের মুখে জাহাঙ্গীর নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাবেন। তবে শেষ পর্যন্ত নানা চাপ থাকা সত্ত্বেও মাঠ ছাড়েননি জাহাঙ্গীর। এছাড়া ভোটারদের ওপরও নৌকার বাইরে ভোট না দিতে হুমকির অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। দলীয় মনোনয়নন পেলেই জয় নিশ্চিত এমন ধারণায় আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। যার প্রভাব পড়ে ব্যালটে।

নগরের বাসিন্দাদের মতে- আওয়ামীলীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো পরিকল্পনার ছাপ ছিল না। মহানগরের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাজে না লাগিয়ে কেন্দ্র ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসা হয় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে। বিচ্ছিন্নভাবে তারা প্রচার-প্রচারণা চালান। রাস্তা-ঘাটে দায়সারা প্রচারণা চালালেও ভোটারদের ঘরে পৌঁছায়নি নৌকার বার্তা। এতে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ৫৭টি ওয়ার্ডে দলের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকায় তারা নিজেদের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকেই বিএনপির ভোট পেতে নৌকার পক্ষে সরাসরি ভোট চাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। এসব কর্মকাণ্ডও আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

অনেকেই বলেন- একাই নানা পথসভায় বক্তব্য দিয়ে গেছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতি, নগর ভবনের দুর্নীতি নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এ নগরে সরকারের নেয়া নানা উন্নয়ন প্রকল্প তিনি ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। নগরীর উন্নয়ন নিয়ে তার ভাবনায় ছিল না কোনো পরিকল্পনার ছাপ, শুধু বিরোধী দল ও মতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছেন। তার একই ধরনের বক্তব্যে নাখোশ ছিলেন নগরীর অনেক মানুষ। প্রচারণায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহারেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন। তরুণ প্রজন্ম ও নারীদের আকৃষ্ট করতেও কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি আজমত উল্লা খান।

নারী প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রচারণায় নেমে আজমত উল্লা খানের এলাকা টঙ্গীতে প্রবেশ করে বারবার বাধার শিকার হয়েছেন। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, কর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এভাবে প্রচারণায় বাধা ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে ছিল। নন্দিত বাংলা সিনেমা ‘আম্মাজান’র শিরোনাম গান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। অনেকেই মনে করেন- এই গানে আবেগতাড়িত হয়েছেন অনেক ভোটার। বিশেষ করে নারীরা ও আবেগী ভোটাররা রায় দেন জায়েদা খাতুনের পক্ষে।

নগরের ভোটারদের মতে- সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার প্রায় ১২ লাখ। এর অর্ধেকের বেশী ভোটারই নারী। প্রথমবারের মতো এই সিটিতে একজন বয়স্ক নারী মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় এবং ছেলের জন্য মায়ের সংগ্রামে আকৃষ্ট হন নারী ভোটাররা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!