স্পীকারের সাথে মালয়েশিয়ার হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের স্পীকারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত 

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 5 months ago

শরিফুল খান প্লাবন:
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সাথে আজ মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে মালয়েশিয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর স্পীকার তান সেরি দাতো ড. জোহারি বিন আব্দুল এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠককালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বানিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক, আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদ, রোহিঙ্গা ইস্যু, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপসহ শ্রমবাজার, শিক্ষা ও পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।
এরপূর্বে স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মালয়েশিয়ার সংসদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এসময় তিনি স্পীকারের কার্যালয় ঘুরে দেখেন, পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করেন।
স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরপরই স্বীকৃতি দিয়েছিলো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়া সফর করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন অভিযাত্রার মাধ্যমে দারিদ্য বিমোচন, শিক্ষা , শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ডিজিটালাইজেশন, তথ্য-প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
স্পীকার বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, ব্লু ইকোনোমি , জলবায়ু পরিবর্তন, এনার্জি সেক্টর, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশের ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান এবং  দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেন।
মালয়েশিয়া প্রায় ৫ লক্ষ বাংলাদেশি  জনশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ায় স্পীকার মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন,  মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল সংখ্যায় মানবসম্পদ তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করেছে তা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আসিয়ান এর সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানান এবং আসিয়ানের ‘সেক্টরাল  ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য মালয়েশিয়ার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। আসিয়ান এর সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়া দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে বলেও স্পীকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপ গঠনের কার্যক্রমকে চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর স্পীকারকে অনুরোধ জানান এবং মালয়েশিয়ার সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মালয়েশিয়ার হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের স্পীকার তান সেরি দাতো ড. জোহারি বিন আব্দুল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং মেধাবী। মালয়েশিয়ায় আসতে না পারা শ্রমিক সংকট নিরসনে তিনি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার পরামর্শ দেন। এছাড়াও ড. জোহারি বিন আব্দুল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে মিয়ানমার সরকারের  সাথে সংলাপ অব্যাহত রাখার  পরামর্শ দেন এবং মালয়েশিয়া আসিয়ান সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এরপূর্বে গতকাল স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে মালয়েশিয়ার জাতীয় সংসদের স্পীকারের পক্ষে হেড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হাজী মুহাম্মদ জামানী বিন মো: আলী তাঁকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের প্রধান প্রশাসক দাতো মোহাম্মদ জামানি বিন মো: আলী, পার্লামেন্টের ব্যবস্থাপনা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি রেদোয়ান বিন রহমত, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অপরাধবিশেষ খবরশিরোনামসারাদেশ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
অভয়নগরে একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে অসহায় বাবা মায়ের সাহায্যর আবেদন 💔 অভয়নগর (যশোর) প্রতনিধি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার 3 নং ওয়ার্ডের ধোপাদি গ্রামের 19 মাস বয়সী ছোট্ট শিশু আরাফাত ইসলাম পিয়াসকে বাঁচাতে তার বাবা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন দেশবাসী ও বিত্তবান মানুষের কাছে। একমাত্র সন্তান আরফাত মাত্র 28 দিন বয়সেই hydrochephalas(মাথায় পানি জমা)রোগে আক্রান্ত হয়ে 39 দিন সাভারের পলাশ হসপিটাল এ চিকিৎসাধীন ছিল।সেখানে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রপাচার করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা, রাশেদ মাহমুদ।পরিবারের দেওয়া তথ্যে জানা যায় সেখানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় 5 লক্ষ টাকা ব্যায় হয় যার বেশির ভাগই ছিল বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নেওয়া এবং ধার করা।বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য আরো 8 লক্ষ টাকা প্রয়োজন ।দরিদ্র পিতা এত অর্থের সংস্থান করতে না পারায় শিশুটির চিকিৎসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।একমাত্র সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পিতা পিয়ারুল ইসলাম।শিশু আরাফাতের পিতা পেশায় একজন সাধারণ ব্যাবসায়ী।স্থানীয় 3 নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তালিম হোসেন বলেন শিশুটির পিতা অত্যান্ত দরিদ্র।তার চিকিৎসার জন্য আমরা স্থানীয় ভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।শিশুটির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় তিনি সমাজের বিত্তবান ও সমাজসেবী দের এগিয়ে আসার আহবান জানান। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা আরাফাতের সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন।সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম নগদ ও বিকাশ (01935070418) পিয়ারুল ইসলাম সঞ্চয়ী হিসাব নং 0200020070766 অগ্রণী ব্যাংক,নওয়াপাড়া শাখা,অভয়নগর যশোর
2 years ago
error: Content is protected !!