নির্বাচনী হালচাল যশোর (০৫) মণিরামপুর পর্ব (০২)
তহিদুল ইসলাম ঃ
যশোর (০৫) মণিরামপুর আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে চলছে একাধিক নেতার প্রচার প্রচারণা। ইতিমধ্যে মণিরামপুর উপজেলার দলীয় কোন্দলে আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটাররা হতাশ হয়ে উঠেছে।
ঠিক তখনি মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের কৃতি সন্তান এস,এম ইয়াকুব আলী মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি প্রায় ৩ যুগ ধরে সাধারণ গরীব অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সহায়তা দিয়েছেন।ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা কে তিনি সহযোগিতা দিয়েছেন। অসহায় পরিবারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রুগী যেখানে চিকিৎসা করতে হিমসিম খাচ্ছে, সেখানে এস,এম ইয়াকুব আলী দিয়েছেন চিকিৎসার অর্থ সহায়তা ইতি মধ্যে তিনি মণিরামপুরে দলমত নির্বেশেষে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান অধিকারী হয়েছেন। তিনি ও তার ছোটো ভাই ডাঃ মেহেদী হাসান গত করোনা কালিন সময়ে অসহায় গরীব মানুষের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রচুর পরিমাণ ত্রান সামগ্রী তুলেদেন। এছাড়াও নিজে ও নিজের কর্মী দ্বারা বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামে গ্রামে খাদ্য উৎপাদন উপহার পাঠিয়েছেন। তার নিকট থেকে সহায়তা পাওয়া অধিকাংশ সাধারণ মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে এস,এম ইয়াকুব আলীর কর্মী হয়ে উঠেছেন। হাজার হাজার সাধারণ মানুষের দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেনো তাদের যোগ্য অভিভাবক এস,এম ইয়াকুব আলী কে নৌকা প্রতিক দিয়ে এই অসহায় মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন।
এসময় কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপঃ কমিটির সদস্য যশোর জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি, যশোর (০৫) মণিরামপুর আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাত্যাশী এসএম ইয়াকুব আলী।গণমাধ্যম কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ডেকেছেন আমরা তার ডাকে সাড়া দিয়ে সুধী সমাবেশে যোগদান করেছি,এর আগে আগস্ট মাস ব্যাপী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মণিরামপুর উপজেলা ব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠান করেছি।আগামী দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ভাবে দলীয় নির্দেশনা দিবেন আমরা সবাই জননেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবো। এছাড়াও দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কে বলে শেষ করা যাবে না।
করোনা কালিন সময়ে সাধারণ মানুষ কে নিরাপত্তা সহ করোনা টিকার ব্যাবস্থা করেছেন, কে কোন দল করে সেটা বিবেচনা না করে তিনি করোনা টিকা দিয়ে দেশের মানুষ কে বাঁচিয়েছেন যেটা নজিরবিহীন যা অন্য দেশ ও দিতে পারেনি। তিনি রাতদিন জনগণের কথা ভাবেন কিবাবে আমার দেশের মানুষ ভালো থাকবেন সেই ব্যাবস্থা করেছেন।দেশের কোনো সরকার বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা,মাতৃকালিন ভাতা দেননি যেটা আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।আজকে আমরা যশোর থেকে ঢাকায় আসি সড়ক দিয়ে গাড়ি চলছে বুঝতেই পারিনা। যানজট নাই ফেরি পার হতে হচ্ছে না।মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টায় পদ্ম সেতু হয়ে ঢাকায় আসছি।এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর পদ্ম সেতু দেশের টাকায় করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বঙ্গবন্ধু টার্নেল সহ রানপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বড়ো বড়ো মেঘা প্রজেক্ট তিনি দেশের টাকায় বাস্তবায়ন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আগে আমরা বিদ্যুৎ পেতাম না রাত দিন মিলে ২ থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ পেতাম।বিদ্যুৎতের অভাবের কারনে কৃষক চাষ করতে পারতো না।সারের অভাবে কৃষক চাষ করতে পারতো না।সার ও বিদ্যুৎতের জন্য অনেক কৃষককে ঐই জামাত বিএনপি সরকার গুলি করে মেরে ফেলেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের সাথে সাথে আগে কৃষক কে বাঁচাতে সার বিদ্যুৎতের ব্যাবস্থা করেছেন।এখন কৃষক কে লাইন দিয়ে সার নিতে হয় না।এখন বিদ্যুৎতের জন্য কৃষি ক্ষেত শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায় না।আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সপ্ন আজ বাস্তবায়ন হয়েছে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে।কৃষক কে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন।স্কুল কলেজে নতুন মডেল ভবন যাহা ১০০ বছর মেয়াদি করেছেন।বিনামুল্যে বই ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি সহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন যা দেশের আর কোনো সরকার দিতে পারেনি।একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছেন।এছাড়া যাদের ঘর নাই জমি নাই তাঁদেরকে জমি দিয়েছেন ঘর দিয়েছেন।যে-সব সড়ক দিয়ে চলাচল করা যেতো না সেই সব সড়ক গুলি এখন উন্নয়নের রোড মডেলে পরিনত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচন কে সামনে রেখে দেশ বিদ্রোহী ঐই জামাত বিএনপি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে চলেছে তাদের দেশের উন্নয়ন দেখে হিংসা হয়।তারা ভেবেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় আসে তা হলে জামাত বিএনপি আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না।কারন দেশের যে ভাবে উন্নয়ন হচ্ছে জনগণ আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া আর কিছুই বুঝবে না।তাই ঐই জামাত বিএনপি ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।কিন্তু আমরা আর ঐই দেশের শত্রুর, যাহারা স্বাধীনতার বিশ্বাস করে না তাদের কে কোনো ভাবে মাড়া চাড়া দিয়ে উঠতে দিবো না। আমরা সকলে এক হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে জামাত বিএনপি কে মোকাবিলা করবো।দলীয় কোন্দল ভুলে যেয়ে ছাত্র লীগ, যুবলীগ,কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাজপথে থেকে মোকাবিলা করবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের যে কোনো মুল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে আবার ও ক্ষমতায় আনার লক্ষে আমরা ঐক্য বদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কে জনগণের কাছে তুলে ধরে নৌকায় ভোট দিয়ে আবার ও জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় আনবো।