মোঃ ইমরান হোসেন মনিরামপুর (পৌর) প্রতিনিধি:
মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের কল্যান কুন্ডুর ছেলে কংকনকুণ্ড সরকারি ঢাকুরিয়া মূক্তেশ্বরী নদীর পাড়সহ কিছু জায়গা আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় শতক জমি মাছ চাষের জন্য খনন কাজ করছিলো। সেখান থেকে মাটি নিয়ে নিজের ঘাস ফড়িং নামক প্রজেক্টে, সেই মাটি ব্যবহার করার জন্য নিয়ে আসছিল, হঠাৎ সেখানে মেলে, ঐখানে অবস্থিত পুরাতন ঠাকুর পরিবারের ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের শ্রীকৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তি।
গ্রামবাসী ও স্থানীয় লোকজনের ধারণা এটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, যার আনুমানিক ওজন ১০/১২ কেজি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঐখানে তৎকালীন সময়ে ঠাকুর পরিবারের মন্দির ছিলো। সনাতন ধর্মের এই শ্রীকৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তির খবর পেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী অনেকেই, ছুটে আসেন এক পলক দর্শন দেওয়ার জন্য, এবং সেখানে পূজার আয়োজন করা হয়, পূজা দর্শনের সনাতন ধর্মের সকলেই শ্রীকৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তি কোলে নিয়ে চুম্বন করেন, শ্রীকৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তি কষ্টি পাথর দিয়ে তৈরি হতে পারে বলে, মূর্তি টি সরকারি কোষাগারে হস্তান্তর করা হবে।
এই মর্মে মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদের নির্দেশে ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার এস আই মলয় বসু ও এ এস আই শ্যামল সরকার ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে, কংকনকুণ্ড নিজে শ্রীকৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ক্রমে পূজা করার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন আবার পুনরায় ফিরে যেয়ে জেলা প্রশাসকের হাতে এটা হস্তান্তর করবেন।