বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গুড়মেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 10 months ago

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

“যশোরের জস, খেজুরের রস” সমগ্র বাংলাদেশ বিদিত স্লোগানের সেই খেজুর রস ও গুড় বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে পর্যাপ্ত খেজুরের গাছ ও গাছিসহ অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

আর এই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন ‘‘অভয়নগরের সুর, খাঁটি খেজুরের গুড় ’’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তিন দিনব্যাপি গুড় মেলা ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করে।

আজ শনিবার ( ১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেলা শুরু হয়ে চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) তুষার কুমার পাল,যশোর খ-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ পিপিএম-সেবা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান,অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আকিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ খান, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক।

মেলা উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি বলেন,অভয়নগরের ঐতিহ্য খাঁটি খেজুর গুড়ের সুনাম দেশব্যাপী।অভয়নগরের খাঁটি গুড়ের ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে এই গুড়ের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন নতুন গাছি তৈরি করতেই এই মেলার আয়োজন।

এসময় অনুষ্ঠানের লোগো ও ওয়েবসাইড উম্মোচন করা হয়।

মেলার ২০টি স্টলে রয়েছে হাজারি গুড়, খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি নানা ধরনের পিঠা-পায়েস-মুড়ি-মুড়কিসহ খেজুর গাছের চারা, বাঁশ-বেত ও মাটির তৈরি জিনিস, বাদ্যযন্ত্র একতারা, দোতারাসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র। প্রতিটি স্টল ও মেলা প্রাঙ্গন হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত। পিঠা-পায়েস খেতেও ব্যস্ত দেখা যায় সব বয়সীদের।

মেলায় আগত হাজারো নারী-পুরুষের চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। এ যেন শহরের মাঝে এক গ্রামীণ মেলা। এর আগে উপজেলা চত্ত্বর থেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে হাজারো লোকের সমগমে র‌্যালী করে মেলার স্থানে যেয়ে তা শেষ হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেঁজুরের রস, খাটি গুড়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং দেশব্যাপী এটি ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

তবে গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং দেশব্যাপী এটি ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মেলায় আসা সাধারণ জনগণ।

error: Content is protected !!