ডেস্ক রিপোর্ট :
এ যেন ফাটাকেষ্টরুপে আবির্ভাব! যেমন নিজে হলেন বিস্মিত তেমনি জেলাবাসীকে করলেন বিস্ময়। বলছি যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের কথা। যশোরে বদলীর প্রথম দিনে নবাগত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের কর্মে রীতিমত বিস্মিত যশোরবাসী।
যশোরে কর্মস্থলের প্রথম দিনে তিনি সকাল বেলায় উঠে নিজে সাইকেল চালিয়ে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় যান, সেখানে কর্মরত গার্ড পুলিশ তাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ডিসি সাহেবের সঙ্গে দেখা করবেন, কিন্তু গার্ড তাকে ডিসি সাহেবের পারমিশন ছাড়া ঢুকতে দেননি।
পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন ট্রাফিক অফিসে এসে তিনি কাউকে না পেয়ে চলে যান সরাসরি চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। তিনি পুলিশ ফাঁড়ির গেট দীর্ঘক্ষন ঝাকাঝাকি করার পরেও কেউ খুলতে আসেননি, এক কথায় কোন সিকিউরিটি গার্ড সেখানে ছিলেন না।
এরপর তিনি চলে আসেন কোতালি মডেল থানায় মডেল থানায় এসে উনি ডিউটি অফিস রুমে ঢুকে বলেন, ভাই আমার একটা মোবাইল হারিয়ে গেছে আমি একটু জিডি করতে চাই কিন্তু ডিউটি অফিসার পক্ষ থেকে তাকে ওই সকালে জিডি হবে না বলে সাব জানিয়ে দেয়া হয়, এক পর্যায়ে ওই ডিউটি অফিসার একজনকে দেখিয়ে দেন জিডি করতে হলে ৫০০ টাকা লাগবে, তখন তিনি বলেন আমার কাছে ৫০০ টাকা নাই আছে মাত্র ২০০ টাকা কিন্তু জিডি কারক ২০০ টাকা নিতে নারাজ একপর্যায়ে ২০০ টাকা ফেরত দিয়ে বলেন যান ৫০০ টাকা নিয়ে আসলে তবেই জিডি হবে।
পরে তিনি সাইকেল চালিয়ে সরাসরি চলে যান পুলিশ লাইনে পুলিশ লাইন কনস্টেবল ব্যারাকে তারা এক বন্ধু আছে কামাল নামের বন্ধুর সাথে দেখা করতে চাইলে গার্ড তাকে ভিতরে যাওয়ার পারমিশন দেয়। তিনি পুলিশ কনস্টেবলদের ব্যারাকে তিনতলায় যান দেখতে পান সেখানে ডাইনিং এ কেউ খিচুড়ি কেউ রুটি খাচ্ছেন। এক পর্যায়ে তিনিও সেখানে একটু খিচুড়ি খান এবং অনেকের সাথে আলাপ করে সেখানকার সার্বিক অবস্থা জানার চেষ্টা করেন। পরে তিনি চলে আসেন।
এদিকে পুলিশ সুপার জনাব মাসুদ আলমের এ ধরনের কাজে যশোরবাসীর অনেকেই বলেন, আমরা তো এই ধরনের পুলিশ সুপার চাই যে পুলিশ সুপার এতদিন আমাদের ভাগ্যে জোটেনি, তারা পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তার সুরক্ষিত জীবন কামনা করেছেন এবং তার কাছে আশা প্রকাশ করে বলেছেন আপনি মাঝেমধ্যে এই ধরনের তৎপরতা চালালে আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবে। আমরাও দারুন ভাবে উপকৃত হব।
সি, বিশ্বাস/ নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪