ফারুক হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ৩ নং সরুলিয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এবং পাটকেলঘাটা মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল হাই যেনো হটাৎ আলাউদ্দীন এর চেরাগের মতো সল্প সময়ের মধ্যে কোটিপতি বনে গিয়েছেন।স্থানীয় সুত্রে জানা যায় বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ ব্যানিজ্যর মাধ্যমে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই এক সময় পাটকেলঘাটা স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দলীয় ক্ষমতা খাটিয়ে কৌশলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হয়ে যান।
এর পর স্কুল কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষক এর পদ খালি থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেই প্রধান শিক্ষক হয়ে যান।তিনি লোকচক্ষু ধোলা দিয়ে রাতারাতি কমিটি বানিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান কে সভাপতি বানিয়ে হয়ে যান প্রধান শিক্ষক যা ঐ স্কুলের কোন শিক্ষক বা কর্মচারী কেউ কমিটির বিষয়ে জানতে পারিনি।
ঐই স্কুলের কিলার মো: আনারুল ইসলাম ( ভারষা) এবং মুকুন্দ ঘোষ এই দুই জন কে ১২০০০০০০ টাকা করে নিয়ে ২৪০০০০০০ টাকা নিয়ে ২০১৮ সালে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেন।২০১৫ এর নিয়োগ দেখানো হয় বিষয়টি পেপার কাটিং ও করা হয় যাতে সহজে পরবর্তীতে ধরা না পড়ে।
ঐ স্কুলের আনারুল ইসলাম কিলার থাকা কালিন ২ বার হিসাবে লক্ষ টাকা গড়মিল দেখা দেই। সেটা স্কুলের কোন শিক্ষক এর অজানা নয়।
এক বার হিসাব দেখাতে ব্যার্থ হলে রাতের আধারে সব কাগজ পত্র পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়।কয়েকদিন পরেই গোপনে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিষয় টা মিটিয়ে ফেলা হয় বলে জানায় নাম বলতে না চাওয়া কয়েকজন শিক্ষক।
আনারুল নামে এক জন কে ২০১৫ এর নিয়োগ দেখানো হলেও ২০১৮ সালে নিয়োগ হয় কিন্তু নিয়োগ দেখানো হয় ব্যাকডেটে।আনারুল ইসলাম শেখ আব্দুল হাই এর সহযোগিতায় কিলার এবং সহকারী শিক্ষক -২ টা বেতন উত্তলন করতেন বলে জানাযায়।যার অর্ধেক ভাগ প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল হাই নিতেন।
কিলার থাকা কালিন সম্পর্ক গড়ে তোলেন বোর্ডের সাথে এবং খুলনা শিক্ষা অফিসে।
সেখান থেকে শিক্ষক দের আটকিয়ে থাকা বেতন পায়িয়ে দেওয়ার জন্য ৫০০০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এর পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ৩নং সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন আঃ হাই।
নির্বাচন চলাকালিন সময় শেখ আঃ হাই কে পাশ করানোর জন্য ভোট কেনা থেকে শুরু করে, ভোট কেন্দ্র ভোট দিতে যেতে হুমকি ধামকি আনারুল ইসলাম। চেয়ারম্যান হতে না হতেই স্কুলে ৫ টি নিয়োগ দেওয়া হয়।প্রত্যকের কাছ থেকে ১২,৫০০০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন রহমত,জেসমিন, আলিম,কৃষ্ণ, রুবেল।দুই জন কে অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন।
এবং তাদেরকে দিয়ে কোচিং বাণিজ্য শুরু করেন যার টাকা দিয়ে স্কুলে প্রতিদিন নাস্তা করা হয়।এর পর শুরু করে গাইড বানিজ্য বছর কন্টাক্ট ৪০০০০০০ টাকা,
তার পর স্কুলের ভাঙ্গা বিল্ডিং এর রড দিয়ে বাড়ির রান্নাঘর বানানো বাদ রাখিনি কোন কিছু।
এর পর কৌশলে বড়ো বিলা মাদ্রাসার সভাপতি ও কাশিপুর স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত হন সেখানে ও নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এছাড়াও নীলিমা পার্ক এর অনুদান, বাজার কমিটির অনুদান থেকেও মোটা অংকের অর্থ নিতেন তিনি। বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সকল প্রকার সরকারি সুবিধা চাউলের কার্ড নিতে দিতে হতো টাকা।এবিষয়ে সরুলিয়া ইউনিয়ন বাসির দাবী দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাই কে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।