নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল সদর ১০ নং ভদ্রবিলা ইউনিয়ন স্থানীয় সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় কর্তক বরাদ্দকৃত ৬ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বরাদ্দকৃত টাকা তুলে আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়ায় নড়াইল ভদ্রবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সজিব মোল্লা ও প্যানেল চেয়ারম্যান আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার খুলনার পত্রের প্রেক্ষিতে নড়াইল জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অভিযোগ অনুসন্ধানে জানাগেছে, চলতি অর্থ বছরে টিআর ও কাবিখার আওতায় নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদে ৬ টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ২৫ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই ৬ টি প্রকল্প বাস্তবায়নকালে চেয়ারম্যান সজিব মোল্লা এবং প্যানেল চেয়ারম্যান আকবর হোসেন তাদের ইচ্ছামত পিআইসি নিয়োগ করে প্রকল্পগুলো খাতা কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত টাকা তুলে ভাগাভাগি করে নেন।
প্রকল্পগুলো হলো: ১.শ্রীফলতা বেরীবাঁধ হতে বিল অভিমুখে রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন। বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ-৩ লক্ষ টাকা। শ্রীফলতা ফুটবল মাঠে মাটি ভরাটের কাজে ৫ লক্ষ টাকা। চন্ডিতলা কবিখোলা মাঠে মাটি ভরাটের কাজে-২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। চন্ডিতলা পাকা রাস্তা হতে খেয়াঘাট অভিমুখে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজে-৩ লক্ষ টাকা। চন্ডিতলা পাকা রাস্তা হতে আমিনুরের বাড়ী অভিমুখে মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট কাজে-১৬ মেট্রিক টন চাউল। এবং পলইডাঙ্গা কাজী শাহা মিয়া এতিম খানার সামনে মাটি ভরাট কাজে -৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সর্বমোট-২৫ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়টি জানতে পেরে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সেবাগ্রহীতা জনগনের পক্ষে মো: মতিয়ার রহমান গত ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে লিখিতভাবে বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে জানান। যার স্থানীয় সরকার শাখা জিডি নং ৫৮১৫। অভিযোগটি গ্রহনপুর্ব্বক খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বিসয়টির উপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ০৭ নভেম্বর নড়াইল জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। যার স্মারক নং ০৫.৪৪.০০০০.০০৪.০২.০০৮.২৩.৯০০।
তদন্ত্রপত্রের প্রেক্ষিতে নড়াইল জেলা প্রশাসক গত ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবার জন্য নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। যার স্মারক নং৫১.০১.৬৫০০.০০০.১৭. ০০২. ২১-৪৪৪। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, তদন্ত চলমান আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সজিব মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ গুলো আমার প্রতিপক্ষ লোকজন আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আমি এর তিব্র প্রতিবাদ জানাই। তাছাড়া ওইসব প্রকল্পে শখভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরই আমরা বিল পেয়েছি। পিআইও নাসরীন সুলতানা সরেজমিন তদন্ত করেই বিল ছাড় করেছেন।