ইকরামুল হোসাইন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন: স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট প্রজন্ম গড়তে মানবিক মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা, আবিষ্কারমনস্কতা ও প্রগতি’ শীর্ষক কনফারেন্স আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে।
দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ দেশের নানা জায়গা থেকে দেশবরেণ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যেই অতিথিদের বরণ করে নিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন কনফারেন্সের চিফ প্যট্রন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর টানইয়েল বি. টাইসি পিএইচ.ডি, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার ও দ্যা ইন্দোনেশিয়ান ইন্সটিটিউট অব দ্যা আর্টসের রেক্টর প্রফেসর ড. আই ওয়ান অ্যাড্রিয়ানা।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. জিল্লুর রহমান পল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেবেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার ও রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত প্যারালাল সেশনের মধ্যদিয়ে গবেষকরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন শুরু করবেন।
কনফারেন্স প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণামনস্ক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এমন একটা পরিবেশ চাই যেখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, গবেষণা হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনকে মোটো ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা দুটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সফলভাবে আয়োজন করেছি। তৃতীয়টি আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছি।
তৃতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সফলতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত, অভিজ্ঞাতাও অল্প। তবুও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আয়োজন করেছি। আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন অপেক্ষায় আছি দেশ বিদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, তারা এই নজরুল তীর্থে আসবেন। কনফারেন্সকে সফল করে তুলবেন।
কনফারেন্সের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই ভেন্যু পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা ও সাজ সজ্জার কার্যক্রম শেষ করে আনা হয়েছে। প্যারালাল অধিবেশনের জন্য প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্স কক্ষ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলার ভেন্যুকেও প্রস্তুত করা হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের সহয়তায় একঝাক তরুণ শিক্ষার্থীদের গাইড হিসেবেও প্রস্তুত করা হয়েছে।
সম্মেলন প্রসঙ্গে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. জিল্লুর রহমান পল জানান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষাবিদ-গবেষকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালগুলো ও বিদেশ থেকে সর্বমোট ২৫০টি পেপার সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য জমা পড়ে। তারমধ্যে ৯৯টি পেপার গৃহীত হয়েছে। ভারত ও সোমালিয়া থেকেই ১৭ টি পেপার গৃহীত হয়েছে।