ঢাকুরিয়া কলেজে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 10 months ago

ঢাকুরিয়া প্রতিনিধিঃ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার এমপিও ভুক্ত ঢাকুরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ বাবু তাপস কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম ও চাকরি দেওয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ টির নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন রংবাজিতে ব্যস্ত এই অধ্যক্ষ এমন দাবি ভুক্তভোগীদের এ বিষয়ে দুদক ও শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা তাপস কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে‌ হয়া বিভিন্ন অভিযোগ পর্যালোচনা করে জানা গেছে আবুল হোসেন নামে একজন হাই স্কুল শিক্ষককে ঢাকুরিয়া কলেজে ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন মর্মে ভুয়া নিয়োগ পত্র ও যোগদান পত্র দিয়ে তাপস হাতিয়ে নিয়েছেন। ৫লক্ষ টাকা নিয়োগ পত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পরেও হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরট দিচ্ছেন না তিনি। মৃগঙ্গ বিশ্বাস নামে আরেক শিক্ষককে ঢাকুরিয়া কলেজে সমাজ কর্মের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এমনকি মৃগঙ্গ বিশ্বাস কে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে দিয়ে দীর্ঘদিন ক্লাসও করিয়েছেন তাপস কুন্ড কিন্তু টাকা আত্মসাৎ করেও। নিয়োগ তো দূরের কথা। এমপি ওর জন্য তার কোন কাগজপত্র পাঠানো হয়নি। নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে সঞ্জীবন বিশ্বাস নামে আরেক জনের কাছ তিন লক্ষ ৫২০০০ টাকা নিয়ে দেননি নিয়োগ ফেরত ও দেওয়া হয়নি একটি টাকাও সুপ্রিয়া ঘোষ নামে এক নারী শিক্ষিকার কাছ থেকে ও নিয়েছেন ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তাকে ঢাকুরিয়া কলেজের। সমাজ কল্যাণের শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে কিন্তু ওই নারী শিক্ষিকা চাকরি করবেননা তাই টাকা ফেরত চাইলেও টাকা ফেরত দিচ্ছেন না তাপস কুমার কুন্ডু আরো অভিযোগ রয়েছে অঞ্জন ব্যানার্জি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে। কেরানী হিসেবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০১২ সালে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন তাপস কুমার কুন্ডু কিন্তু এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরে ও চাকরি তো দেওয়াই হয়নি বরং ফেরত দেওয়া হয়নি টাকাও । গুরুতরই অভিযোগ রয়েছে ঢাকুরিয়া কলেজে টি প্রতিষ্ঠাকাল সময় থেকেই অফিস সরকারি হিসাবে আছেন আনিচুর রহমান ১৯৯৯ সাল থেকে চাকরি করে আসা আনিচুর রহমান কে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নতুন আরেকজনকে এমপিও ভুক্তির অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন তাপস কুমার কুন্ডু । এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আনিচুর রহমান বলেন ১৯৯৯ সালে তিনি এক বিঘা জমি বিক্রি করে তিন লক্ষ টাকা তাপস কুন্ড কে দিয়ে চাকুরীতে জয়েন করেন আনিচুর রহমান পরে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরে আনিসুর রহমানকে বাদ দিয়ে সেখানে আরেকজনকে নিয়োগ দেয়ার কথা শোনা যায় । ঢাকুরিযা কলেজর অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঢাকুরিয়া কলেজের অর্থনীতির বিষয়ের প্রভাষক বিমল কুমার রায় তিনি ২০১১সাল থেকে কলেজ টিতে প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছেন বিমলের নাম আছে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের ব্যান বেইজেও কিন্তু ঢাকুরিয়া কলেজ এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর এখন বিমলের জায়গায় ঘুষের বিনিময়ে ইনামুল নামের আরেকজনকে নিয়োগের চেষ্টা করছেন তাপস কুমার কুন্ডু ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এতসব অভিযোগের কথা জানতে চাইলে অভিযুক্ত তাপস কুমার কুন্ড সব অস্বীকার করেন।

error: Content is protected !!