মোঃমাসুদ আলম,ব্যুরো চীফ,রাজশাহী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মহিলা ডিগ্রি কলেজ হল রুমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মোঃ রোকনুজ্জামান সরকার, অধ্যক্ষ,গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শহিদুল করিম শিবলী, উপাধ্যাক্ষ, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ,এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রণব কুমার দে, সহকারী অধ্যাপক সমাজ বিঙ্গান বিভাগ, আফিয়া সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, মোঃ আশফাক, প্রভাষক, মনোবিঙ্গান বিভাগ, সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকরঅর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”…কোনো কালে একা হয়নি ক’জয়ী পুরুষের তরবারী প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী।’বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ মুজিবের বাঙালি জাতির জনক হয়ে ওঠার পেছনে ফজিলাতুন্নেছার অবদান, অনুপ্রেরণা ও আত্মোৎসর্গ অনস্বীকার্য।
তার কারণেই একটি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপণ করে এর স্বাদও এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু।তার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রিয় রেণু।৮ আগস্ট এই মহীয়সী নারীর ৯৩তম জন্মদিন। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম শেখ জহুরুল হক এবং মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। একভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শৈশবে বাবা-মাকে হারানোর পর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেড়ে ওঠেন দাদা শেখ কাশেমের কাছে।প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ধরনের শিক্ষা ছাড়াই তিনি ছিলেন সূক্ষ্ম প্রতিভাসম্পন্ন জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত, দায়িত্ববান ও ধৈর্যশীল। জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লেখার ক্ষেত্রেও মূল প্রেরণা ও উৎসাহ ছিল তার। শেখ মুজিব তার আত্মজীবনীতেও সহধর্মিণীর সেই অবদানের কথা স্মরণ করেছেন। জীবনসংগ্রামের সব কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে তিনি পরিবারও সামলেছেন বেশ গুছিয়ে। সবকিছুর পরও তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের রাজনীতির শ্রেষ্ঠ ছায়াসঙ্গী।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা।আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ শহিদ হোসাইন, প্রভাষক, আরবি বিভাগ।