কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় ৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ৬টি স্থানে টিসিবির পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫২৮৮টি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করার কথা থাকলেও প্রায় ৫০০ জন উপকারভোগী তাদের প্রাপ্য পণ্য পাননি। এর ফলে এলাকায় তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার ভূষণ রোড, আড়পাড়া শোয়াইবনগর মাদ্রাসা, চাপালী, রাসেল স্টেডিয়াম, পৌর অডিটোরিয়াম, এবং ফয়লা—এই ৬টি স্থানে ডিলাররা পণ্য বিতরণ করেন। ডিলারদের মধ্যে মেসার্স মন্ডল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সায়রা এন্টারপ্রাইজ, সম্রাট ট্রেডার্স, নিউ এস ব্রাদার্স, বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, এবং শেরে বাংলা বিপনী উল্লেখযোগ্য।
তবে অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স সায়রা এন্টারপ্রাইজ আড়পাড়ায় ২২৫ জন, সম্রাট ট্রেডার্স চাপালীতে ৪৩ জন, এবং শেরে বাংলা বিপনী ফয়লায় ৮৩ জন কার্ডধারী কোনো পণ্য পাননি। কার্ড থাকা সত্ত্বেও পণ্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।
সমিরন বিবি নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, “কার্ড থাকা সত্ত্বেও পণ্য পাইনি। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য ছাড়াই ফিরে আসতে হলো। অথচ দেখেছি, একেকজনের তিন থেকে চারটি করে পণ্য দেওয়া হয়েছে।”
মেসার্স সায়রা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ওবায়দুল হকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ট্যাগ অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী পণ্য বিতরণ করেছেন এবং সব পণ্য বিক্রি হয়েছে। তবে এনআইডির ফটোকপি নিয়ে অনেকের নিকট পণ্য বিক্রি করার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, “পণ্য বিতরণে কিছুটা অব্যবস্থাপনা ছিল। এ কারণে ৬ জন ডিলারকে ৮ জানুয়ারি সকালে তলব করেছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, কার্ডধারী উপকারভোগীদের তাদের প্রাপ্য পণ্য কেনার সুযোগ দিতে হবে। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপকারভোগীরা দ্রুত সুষ্ঠু ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য পণ্য পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।