মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
আরবী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মনিরামপুর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার যশোর জেলা কমিটির অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক, এবং বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মনিরামপুর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন যে, দেশ ও বিদেশের সবাইকে জানাই আরবী নববর্ষে ১৪৪৫ হিজরি সনের প্রান ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি আরো বলেন যে, আরবী বছরের প্রথম মাসটির নাম হলো মুহাররম মাস যাকে “মুহাররামুল হারাম” বলা হয়েছে। আরবী বছরের বা হিজরী সালের প্রথম মাস। অর্থাৎ সম্মানিত মুহাররাম মাস। আল্লাহ যে চারটি মাসকে সম্মানিত করেছেন তার মধ্যে মুহাররাম মাসও রয়েছে। পূর্বের উম্মতদের জন্য সবচেয়ে সম্মানি রোজা ছিল এই মাসের রোজা। একে আশুরার রোজা বলা হয়ে থাকে।
ফরজ রোজার পরে তাদের নিকট সবচেয়ে দামী ছিলো আশুরার রোজা। আর আমাদের জন্য ফরজ রোজার পরে নফল রোজার মধ্যে সবচেয়ে দামী হলো আরাফার রোজা (অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের ক্রম তারিখ) আশুরার রোজা রাখার কারনে পিছনের জিন্দেগী এক বছরের গুনাহ মাফ হয়।
ইয়াহুদিরা বলে যে আশুরার রোজা মুসা আঃ এর যুগ থেকে এসেছে, আসলে তা নয়! আর মুসলমান নামধারী শি’আ যারা সত্যিকার অর্থে কাফের তারা বলে বেড়ায় যে, আশুরা সম্মানীত হয়েছে ইমাম হুসাইন রাঃ এর সময় থেকে। এই শি’আদের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সমাজের সরলমনা ইলমবিহীন সাধারণ মুসলমান তাই বিশ্বাস করে বসে আছে। তাদের ধারনা এই দিনে ইমাম হুসাইন রাঃ শহীদ হয়েছে তাই এই দিনের এতো মর্তবা। অথচ আশুরার ফজিলত শুরু হয়েছে হযরত আদম আ. এর যুগ থেকে।
আগেই বলা হয়েছে আগের উম্মাতের জন্য এই দিনে রোজা রাখা নফলের দিক দিয়ে অনেক দামী। এবং আমাদের নবী এই মাসের মর্তবার ব্যপারে ইমাম হুসাইন রাঃ এর শহীদ হওয়ার আগেই বলে গেছেন।
সুতরাং যদি এভাবে বলা হয় যে এই দিনটি আগে থেকেই দামী আর আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন, শহীদদের সর্দার ইমাম হুসাইন রাঃ এর মর্যাদা আরো বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তাঁর শহীদের জন্য এই দিনকে পছন্দ করেছেন। এতে একদিকে যেমন সঠিক কথা বলা হলো এবং অপরদিকে ইমাম হুসাইন রাঃ এর সম্মানকে মানুষের নজরে আরো উচু করে তুলে ধরা হলো।
যেমনঃ আমাদের সকলেরই মৃত্যু আসবে, আল্লাহ যদি কোন মুমিনের মৃত্যু শুক্রবারে নির্ধারণ করে এর দ্বারা ঐ মুমিনের মর্তবা বাড়বে, শুক্রবারের নয়। ঠিক তেমনি যদি সোমবারে মৃত্যুবরণ করে তবে আরো দাম বাড়লো। শুক্রবার থেকে সোমবারে মৃত্যু মোমিনের জন্য বেশী বরকতময়।
পরিশেষে তিনি সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বলেন যে, এই মাসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় আমল আছে আল্লাহ তা’য়ালা যেনো আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে বুঝে পালন করার তাওফিক দান করেন।
সেই সাথে নতুন স্বপ্ন, সম্ভাবনা এবং আশার উদ্দীপনা নিয়ে আসুক আরবী নতুন বছরের আগমনী দিন। সবাইকে জানাই আরবী নববর্ষ ১৪৪৫ হিজরী সনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শুভ আরবী নববর্ষ
(আমিন)