অনলাইন ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানে আগুন লাগার পরেও সাহসিকতার সঙ্গে বিমানটি জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান কো-পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। বিমানটিতে আগুন ধরার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম জহুরুল হক বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দুর্ঘটনার পর দুই পাইলট জরুরি প্যারাসুট দিয়ে নদীতে অবতরণ করেন।
তাৎক্ষণিক বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আইএসপিআর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবাররের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটিকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম ঢাকা থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম দুর্ঘটনা পরবর্তী কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশক্রমে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য এরই মধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এম,এম,হোসেন/নিউজ বিডি জার্নালিস্ট ২৪