
বুলবুল হোসেন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
খাদ্যে ভেজালের কারনে আমরা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। বর্তমানে প্রায় সব খাবারেই ক্ষতিকর কেমিকেন ও ভেজাল। কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কীটনাশক, বালাইনাশক।
মাছ, মুরগী, গরু, ছাগলকে খাওয়ানো হয় বিভিন্ন হরমোন। খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সবাইকে সচেতন করার লক্ষে টাঙ্গাইলে গঠন করা হয় নিরাপদ খাদ্য ফোরাম।
উবিনীগ ও সবুজ পৃথিবীর যৌথ উদ্যোগে রিদয়পুর বিদ্যাঘরে অনুষ্ঠিত আলোচলা সভায় সভাপতিত্ব করেন উবিনীগের পরিচালক জাহাংগীর আলম জনি। আলোচলা সভায় অংশগ্রহন করেন টাঙ্গাইল জেলায় নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সবুজ পৃথিবীর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ মাহমুদ, উবিনীগ টাঙ্গাইলের সমন্বক রবিউল ইসলাম চুন্নু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হক, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আহম্মেদ। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতা সফলতা ও সংকট শেয়ার করেন মধুপুরের নিরাপদ আনারসচাষী ছানোয়ার হোসেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবসায়ী ও উৎপাদক এস এম শাহীন হোসেন, টাঙ্গাইল সদর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ একদিন হোসেন, টক বড়ই চাষী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সবুজ পৃথিবী মির্জাপুর শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন নবীন, নিরাপদ ড্রাগন চাষী বদর উদ্দিন,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ী আওয়াল মাহমুদ, নিরাপদ ফল চাষী আঃ সাত্তার হিরু, নিরাপদ খাদ্য ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জুপিটাল, সবুজ পৃথিবীর সভাপতি ডঃ কায়েম উদ্দিন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সজীব আল রেজা, সহকারী অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন, শস্য প্রবর্তনার প্রতিনধি মোঃ শাহাদৎ হোসেন, নয়াকৃষির কৃষক আনসার আলী, ওসমান গনি, মাইন উদ্দিন, আক্কাস আলী, আরফান আলী, সোহাগী বেগম ও সেলিনা বেগম।
আলোচনা শেষে তিন মাসের জন্য রবিউল ইসলাম চুন্নুকে আহবায়ক ও সহিদ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৫৫ সদস্য বিশিষ্ঠ আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এই ফোরামের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলাকে নিরাপদ খাদ্য জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে



