
মনোয়ার ইমাম, কলকাতা প্রতিনিধি :
আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি পেল এক বড় ধাক্কা। বিশিষ্ট সমাজসেবী, বুদ্ধিজীবী, লেখিকা এবং বিজেপি নেত্রী সুদিপ্তা রায় চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে।
কলকাতার বিধান ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী শুভঙ্কর সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কৃষক শ্রমিক মজদুর কংগ্রেসের সভাপতি শ্রী তপন দাস, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চক্রবর্তীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির নেত্রী হিসেবে সক্রিয় থাকা সুদিপ্তা রায় বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি রাস্তায় নেমে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের নৈরাজ্য, দলীয় নেতাকর্মীদের গুন্ডামি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে আমি হতাশ। অন্যদিকে বিজেপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু ও দলিতদের ওপর অত্যাচার, সম্পত্তি নষ্ট ইত্যাদি ঘটনায় আমি ব্যথিত। এ কারণে আমি আজ বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি। আমি রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে আস্থা রেখে এই সিদ্ধান্ত
তৃণমূল কংগ্রেসের নৈরাজ্য, দলীয় নেতাকর্মীদের গুন্ডামি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে আমি হতাশ। অন্যদিকে বিজেপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু ও দলিতদের ওপর অত্যাচার, সম্পত্তি নষ্ট ইত্যাদি ঘটনায় আমি ব্যথিত। এ কারণে আমি আজ বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি। আমি রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে আস্থা রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এই যোগদানকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম নিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বিজেপির জন্য এক বড় ধাক্কা এবং কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।