
মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ
মণিরামপুর পৌরসভার প্রাচীরের উত্তর পাশ দিয়ে বাইপাস রাস্তার একপাশে চলছ ড্রেনের কাজ,আরেক পাশে সাপ্লাই পানি সরবরাহের লাইনের সংস্কার।
পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান ঐ কাজের দৃশ্যমান ফুটেজ মোতাবেক,পৌরসভার প্রাচীর ঘেঁষে আলিয়া মাদ্রাসার সামনে পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, অপর পাশে কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মুরগীহাট,পাবলিক লাইব্রেরী,প্রভাতী বিদ্যাপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বিভিন্ন কম্পানির ডিলারশীপ সহ অসংখ্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে খুড়ে রাখা হয়েছে সাপ্লাই পানি সরবরাহের পাইপ লাইন সংস্কারের জন্য। গত বৃহস্পতিবার হতে রীতিমত পোরসভার প্রাচীরের মেইন সড়ক বরাবর এবং কাজের শেষ অংশে আলিয়া মাদ্রাসার সামনে সড়কের মাঝ বরাবর পাথরের স্তুপ রেখে সড়কে হেটে যাওয়া পথ বন্ধ করে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। তথ্য সংগ্রহে ড্রেনের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবী দ্রুতই কাজ শেষ করা হবে। তবে সংশ্লিষ্ট পৌরকর্তৃপক্ষ ভোগান্তির এ বেপারটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন।
তথ্য অণুযায়ী,পথচারীদের পাশাপাশি ব্যাবসায়ী,২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,স্থানীয়রা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে যাতায়াতে। বেচাকেনায় মন্দা ও সড়কে লোক চলাচল করতে না পারায় হাহাকার করছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে।
এদিকে শুক্রবার (১০ই অক্টঃ) দুপুরের ভারী বর্ষনে দু’পার্শের ফেলে রাখা ড্রেনে পানি জমে তৈরি হয়েছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। পায়ে টে বাড়িতে যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধ পা স্লিপ করে পড়ে যেয়ে নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে কোমরে চোট পেয়ে আছেন চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসি ও ব্যাবসায়ীরা কেউ এ বিষয়ে সরাসরি কথা না বললেও পরিচয় গোপন করে স্থানীয় পলাশ(ছদ্মনাম) জানান,আসপাশে শতাধিক পরিবারের বসবাস।কোমলমতি শিশুরা বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে পারছে না।আমারও ২টি ছেলেমেয়ে আছে তাদের মা’কে আমি বলেছি কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখবে।
স্থানীয় বড় ব্যাবসায়ী তাজাম্মুল বোরখা ঘরের স্বত্বাধিকারী মোঃ তাজাম্মুল হোসেন জানান,সাময়িক সমস্যা তো হচ্ছে। বেচাকেনা দূরের আমার দোকানের কর্মচারীরাও আসতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানে। যে কাজ চলছে সবই তো আমাদের মানউন্নয়নের জন্য।মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই।
সংস্লিষ্ট জনভোগান্তীর বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলেও চলছে নানান সমালোচনা।বেশিরভাগ সচেতন মহলের অভিযোগ যে,একই সাথে দুই পাশে কাজ না করে যদি একপাশের কাজ চলমান রেখে আরেক পাশ দিয়ে চলাচলের উপযোগী রাখলে কোনও ধরনের সমস্যা হতোনা। এ ভোগান্তি নিছক কর্তৃপক্ষের ভুল পরিকল্পনার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে।
সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পৌরবাসীর উন্নয়নের এ কার্যক্রমে সেবাগ্রহীতাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে সংস্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।
সার্বিক বিবেচনায় স্থানীয় ব্যাবসায়ী,পথচারী,প্রভাতী বিদ্যাপিঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক,স্থানীয়রা যাতায়তে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি বলছেন যে সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করলে হয়তো এ দূর্ভোগ হতোনা। যে কাজ হচ্ছে সেটাও তো জনগনের জন্য,এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে স্থানীয়রা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।
পৌরবাসীর এ ভোগান্তীর কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান রয়েলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,সাময়িক এ সমস্যার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। তবে অতিদ্রুত সময়ে এ কাজ শেষ হবে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য নিতে অসংখ্যবার মণিরামপুর পৌরসভার প্রকৌশলী(এক্সএন) উত্তম মজুমদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোনকলের সাড়া দেননি।