
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ
সমাজে ফিতনা, ফেসাত তৈরি করা মানুষ হত্যার চেয়ে বড় অপরাধ!
কর্মজীবনে যশোরে আসাটাও আমি মনে করি একটা হিযরত। এখানে এসেছি ১ বছর পার করেছি,আল্লাহ চাইলে ৫ বছরও থাকতে পারি,আবার আগামিকাল আমি না থাকতেও পারি। কেউ কোথাও চিরস্থায়ী নই!তাই নিজের চারিত্রিক গুনাবলী দিয়ে সৎ পথে থেকে ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষকে সেবা দিতে হবে। একজন অসহায়কেও তার প্রাপ্য বুঝে দিতে হবে। বর্তমানে আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি।
সব প্রতিকূলতা ভেদ করে সামনের দিকে এগোতে হবে – একজন অভিভাবকের মতো এ সমস্ত বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন মণিরামপুরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক হিসাবে যশোরে ১ বছর পূর্তিতে মোঃ আজহারুল ইসলাম নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশেষ করে সরকারি সকল কর্মকর্তাদের লক্ষ করে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে উল্লেখিত দিকনির্দেশনা মূলক কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে প্রধান অতিথিকে নির্বাহী কর্মকর্তা সকলকে সাথে নিয়ে ফুলেল শুভেচছা প্রদান করেন।
আকস্মিক পরিদর্শনে ১৮ই সেপ্টঃ সকালে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী,গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে যশোর জেলা প্রশাসকের উপরে উল্লেখিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদুর রহমান,মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন,যশোর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ মুসা,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর উপজেলা আমির মোঃ ফজলুল হক,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা রশীদ বিন ওয়াক্কাস,ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি ইবাদুল ইসলাম মনু,আশরাফ ইয়াছিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় যে সমস্ত সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশাসক হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্বশীলদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল হক,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ নাহিদ হাসান সহ সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মতবিনিময় শেষে পার্শবর্তী কয়েকটি রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচিতে পরিবেশ বান্ধব কয়েক প্রকারের চারাগাছ রোপন করা হয়।