
হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইলই নড়ে না—এমন অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। তারা জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দীনেশ চন্দ্র পাল তাদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) চালুর আগে এমপিও সংশোধনের কাজ চলছে। কিন্তু সংশোধনের জন্য টাকা ছাড়া ফাইল গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের ফাইলে সমস্যা দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
শিক্ষকরা আরও অভিযোগ করেন, বিএড স্কেল, উচ্চতর স্কেল ও আপার স্কেলের জন্য পাঠানো কাগজপত্রের ক্ষেত্রেও চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হচ্ছে।
তবে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, “এ পর্যন্ত আমি ২০০-র বেশি ফাইল নিষ্পত্তি করেছি, এখনো অনেক কাজ বাকি। আমার অফিসের কেউ অর্থ লেনদেনে জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখব।”
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, “ইএফটি-র কাজে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কেউ বিধি বহির্ভূত কাজ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, “সরকারি সেবা পেতে টাকা দিতে হবে, না হলে কাজ হবে না—এমনটি বেআইনি ও দুঃখজনক। আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।