
মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের কুয়াদা বাজারে মনিরামপুর এরিয়ার জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কুয়াদা শাখা হিসাবরক্ষক আবিদা সুলতানা যার পিন নং ৪৭৯৮ ।
দিন দিন ওই বহুআলোচিত কর্মী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক সদ্যদের সাথে খারাপ আচারণ,অসৌজন্যমূলক কথা বার্তা বলা এবং হয়রানিসহ সীমাহীন অভিযোগ উঠেছে । এ নিয়ে সদস্যরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, যশোরের কুয়াদা বাজারে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন মনিরামপুর এরিয়ার কুয়াদা শাখা অবস্থিত। যার কোড নং ( ০০০৭)।
এই এনজিওর পরিচালনাধীন সম্পা মহিলা সমিতি যার কোড নং ০৮৮। এই সমিতিতে মোছাঃ সোনালী খাতুন নামে একজন ভর্তি হয়। যার সদস্য কোড নং ৯৫৭১।
সে গত, ১১-০২ -২৫ তারিখে মাসিক মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয় হিসাবে এই সমিতিতে ৫ লক্ষ টাকা জমা রাখে। আবার তিনি প্রতি মাসে ডিপিএস হিসাবে ৫ হাজার করে টাকা জমা রাখেন এই সমিতিতে ।
তারই ধারাবাহিকতায়, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর -২৫) জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কুয়াদা শাখা ম্যানেজার আরিফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে সোনালী খাতুন নামের ওই মহিলা সদস্য সকাল ৯ টার দিকে অফিসে আসেন। এসে দেখেন ম্যানেজার অফিসে নাই ফিল্ডে কাজে গেছেন। সে সময় শাখা হিসাবরক্ষক আবিদা সুলতানা অফিসে উপস্থিত ছিলেন। তখন তাকে মাসিক মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয় থেকে ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে মাসিক ডিপিএস এ ওই ৫ হাজার টাকা জমা করতে বলেন। সে সময় আবিদা সুলতানা নামের ওই কর্মী সদস্যকে বলেন এখন টাকা জমা করতে পারবো না। তখন সদস্য তাকে পুনরায় অনুরোধ করে বলে দেখেন আপা আমি খুব অসুস্থ্য আবার দুপুর বেলা অফিসে আসবো। তখন আলোচিত কর্মী আবিদা সুলতানা সদস্যের উপর উত্তেজিত হয়ে খারাপ ভাষায় বলেন, আপনারা শুধু অফিসে এসে ঝামেলা করেন, আপনাদের এখানে টাকা রাখতে কে বলেছে? আপনারা এখানে টাকা রেখেছেন কেন?
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক সদস্যরা জানান,জাগরণী কুয়াদা শাখার সব কর্মীর ব্যবহার ভাল,কিন্তুু আবিদা আপার ব্যবহার খুব খারাপ। তার এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকার সদস্যগন পরিত্রাণ চাই।
এ বিষয়ে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কুয়াদা শাখার ম্যানেজার আরিফুর রহমান বলেন,সদস্যদের সাথে খারাপ ব্যাবহার একেবারেই কাম্য নয়। যদি আমার কর্মী এমন অসৌজন্যমূলকভাবে আচরণ করে থাকে তাহলে নিশ্চয় সে ভুল করেছে। আমি বিষয়টি দেখছি।