
হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভাগ্নের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি লিখে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আপন মামার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী ভাগ্নে বাদি হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভূক্তভোগী ভাগ্নে প্রসেনজিৎ দাস উপজেলার রায় গ্রামের প্রদিপ দাসের ছেলে ও মামা সুবাস দাস উপজেলার কাদিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ।
প্রসেনজিৎ দাসের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে , মামা সুবাস দাস তার বোনের বাড়ির পাশে প্রায় ২০ বছর আগে ৩ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ২০১০ সালে বিক্রয় করতে চাইলে ভাগ্নে প্রসেনজিৎ দাস ৬০ হাজার টাকায় ৩ শতক জমি ক্রয় করেন সেখানে বাড়িও তৈরী করেন। জমি বিক্রয়ের পর বার বার তাগিদ দিয়েও প্রায় ১৫ বছরে প্রসেনজিতের নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন নি মামা।
লিখিত অভিযোগ থেকে আরো জানা গেছে, একই সময় মামা সুবাস দাস ভাগ্নে প্রসেনজিতের কাছ থেকে ৫০ কেজি বস্তার প্রায় ২০ বস্তা চাউল ও ৭৫ কেজি বস্তার ৮ বস্তা খৈল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন নি। মামার এমন কান্ডে দরিদ্র ভাগ্নে এখন চরম হতাশায় দিন পার করছেন। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী প্রসেনজিৎ দাস বলেন , মামা আমার সাথে এমন প্রতারণা করবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। মামা বেশি দামে অন্য কারো কাছে জমি বিক্রয় করার জন্য বার বার চেষ্টা করছে। তাই আমি ইউএনও স্যার বরাবর অভিযোগ করেছি। মামার প্রতারনা আমি সঠিক বিচার চাই । এ ব্যাপারে মামা সুবাস দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তার ছেলে দূর্জয় দাস প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কল করে জানান, আমরা কোনো টাকা তার কাছ থেকে নিইনি। একথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিক্তিহীন ।
ভুক্তভোগী কর্তৃক অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) দেদারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি , তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।