Monday, September 15, 2025

জামালপুরে গাঙচিলের কবিতা উৎসব

Date:

Share post:

জাবির আহম্মেদ জিহাদ:

জামালপুরে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবুর স্মরণে আলোচনা সভা ও কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবে কার্যক্রম শুরু হয়।এতে নজরুল ইসলাম বাবুকে নিয়ে অনেক গুণীজন স্মৃতিচারণ করেন।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কবি ও গীতিকার প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী,উদ্বোধক- গাঙচিল আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক “খান আখতার হোসাইন”(দাদুভাই), জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট ইউনুস আলী,মো: ওসমান গণী, মো: শাহ-জামাল সহ অনেকে।অনুষ্ঠানে শিক্ষামূলক অনেক কবিতা আবৃত্তিও করা হয়।

গাঙচিলের পরিচালক খান আখতার হোসাইনের টাইমলাইন থেকে পাওয়া যায়, নজরুল ইসলাম বাবু ছিলেন, আশির দশকের গীতিকার, ১৯৮৫ সালে সমষ্টি কথাচিত্র নামে একটা চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চার বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রপরিচালক আখতারুজ্জামান, রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু, রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান ও ক্যামেরাম্যান ইসাহাক আলী।

ঠিক হয়, চলচ্চিত্রের নাম হবে ‘একাই একশো’। প্রধান চরিত্রে ওয়াসিম ও রোজিনা।পরিচালক হলেন আখতারুজ্জামান, চিত্রগ্রহনে ইসাহাক আলী, গান লিখলেন নজরুল ইসলাম বাবু ও সুরকার শেখ সাদী খান। তিনজন সহকারি পরিচালকের ভেতর খান আখতারও ছিলেন। অন্য দু’জন সহকারি পরিচালক হলেন সৈয়দ আনিসুর রহমান ও বাবুল আক্তার।

“একাই একশো” ছবিটির সুটিং শুরু হয় সোনারগাঁ বৈদ্যের বাজারে। ছবিটি শুটিংয়ে শুভ মহরতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাপ্তাহিক সিনেমার সম্পাদক শেখ মারুফ। ছয় মাস ধরে একটানা কাজ করে ছবিটি শেষ হয়। সেন্সর সার্টিফিকেট লাভ করেও ‘একাই একশো ‘ আলোর মুখ দেখতে পারেনি। সিনেমা হলে মুক্তি পায়নি “একাই একশো”। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রপরিচালক আখতারুজ্জামানের সৃষ্টি দর্শক দেখতেই পারেননি।

ছবিটি মুক্তি পেলে জাতি সৃজনশীল চলচ্চিত্রটি দেখতে পেতো। লাল ফিতের দৌরাত্ম্যে দেশ একটি সৃষ্টিধর্মী চলচ্চিত্র থেকে বঞ্চিত হলো।

এফডিসির সাথে লেনদেনের জটিলতায় ছবিটি আটকে যায়। এফডিসির সীদ্ধান্তে মুশরে পড়েন নির্মাতা গোষ্টি। চার গুণীজনের মন ভেঙে যায়। অন্য সবার মতো নজরুল ইসলাম বাবুরও সঞ্জিত অর্থ ও হাওলাত করা অর্থ আটকে যায়।

মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। অনেকে মনে করেন আর্থিক দুশ্চিন্তা নজরুল ইসলাম বাবুকে অসুস্থ করে তোলে। দিনে দিনে এ অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়।

১৯৯০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নজরুল ইসলাম বাবু।

সকলেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এই গুণীজনের প্রতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

জামায়াত এনসিপি হচ্ছে আওয়ামী লীগের বি ও সি টিম আমজাদ হোসেন মামুন

 নুর-বীন আব্দুর রহমান রাহাত,  ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আমজাদ হোসেন মামুন বলেছেন, জামায়াত ও এনসিপি আসলে...

আজ মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি কে সি এম উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলা তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উস্তি কে সি পি উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি...

মনিরামপুর ভূমি অফিসে দু”র্নীতির স্বর্গরাজ্য – নৈশ প্রহরীও ‘স্যার’

মনিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মনিরামপুর ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। অফিসের নৈশ প্রহরী আসাদও সেখানে...

নড়াইলে তরুণ উদ্যোক্তা প্রযুক্তির আলো তুলে দিতে চান তরুণ প্রজন্মের কাছে

সাজ্জাদ তুহিন,নড়াইল প্রতিনিধিঃ আমাকে সৃষ্টিকর্তা যে সামান্য জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়েছেন,তা আমি সাথে নিয়ে যেতে পারব না। কিন্তু রেখে...