মণিরামপুরে শোক সভা ও খান টিপু সুলতানের ৬ষ্ঠ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 1 year ago

তহিদুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর (০৫) আসনের সাবেক সংসদ খান টিপু সুলতানের ৬ষ্ঠ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জনাবা নাজমা খানম,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  মিকাইল হোসেন,বিল্লাল হোসেন মিন্টু, সাবেক সভাপতি মণিরামপুর উপজেলা শ্রমিক লীগ,খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,পৌর কাউন্সিলর আদম আলী,
সৃকৃতি  বিশ্বাস সাবেক সভাপতি মণিরামপুর উপজেলা কৃষক লীগ,
আমেনা বেগম সাবেক সভাপতি মণিরামপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, অরবিন্দু হাজরা আহ্বায়ক মণিরামপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, শহিদুল ইসলাম যুগ্ম আহ্বায়ক মণিরামপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ,সেলিম রেজা,যুগ্ম আহ্বায়ক মণিরামপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ।আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তব্যে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, আমরা এই আগস্ট মাসে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের নিকট তম ১৬জন সদস্য কে হারিয়েছি।একই মাসে ২০১৭ সালে ১৫ আগস্টের শোকের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার আগেই, আমরা যশোর জেলা মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধুর সহচর যশোর (০৫) আসনের  বার বার জনগনের ভোটে সংসদ সদস্য আমাদের প্রিয় নেতা খান টিপু সুলতান কে হারিয়েছি।সে দিন মণিরামপুরের হাজার হাজার আওয়ামী লীগ প্রেমী  প্রিয় নেতাকে হারিয়ে কেঁদেছিলো নিরাবে।বর সেই দিন ২০১৪ সালের সেই কলসের জামাত বিএনপির রক্ষা দাতা বর্তমানের প্রতিমন্ত্রী মনে মনে ভেবেছিলো খান টিপু সুলতানের বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সংগঠন আওয়ামী লীগ কে ধ্বংস করতে হবে।তা না হলে আমি কখনো মন্ত্রী মিনিস্টার হতে পারবো না।উনি ২০১৮ সাল কে পুজি করে আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে কিছু বিদেশিদের হাত করে ভুলভাল বুঝিয়ে নৌকা নিয়ে আসেন।আমরা মণিরামপুর আওয়ামী লীগের কর্মীরা সে দিন নিরাবে বুবা কান্না করে বুকে পাথর চাপা দিয়ে, জননেত্রী  শেখ হাসিনা সরকার কে ক্ষমতায় আনতে ৯০ হাজার নেতা কর্মী ভোট করে নৌকা কে জয়লাভ করিয়েছিলো।তিনি নৌকার এমপি হয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হতে না হতেই সেই ২০১৪ সালের নৌকার ভোট করায় ৯০ হাজার নেতা কর্মী কে নির্যাতন করা শুরু করেদেন।আর জামাত বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে নাশকতা মামলা আসামীদের সেল্টার দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করাতে চেষ্টা করতে বিএনপির নেতা ইকবাল হোসেন,বিএনপির নেতা খাইরুল ইসলাম,সহ বিএনপির নেতা কর্মীদের নিয়ে কোর্টে ধর্না দিতেন আমাদের বর্তমানের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য সহ তার স্ত্রী সন্তান।যার একাধিক প্রামন তাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন৷আমরা বলতে চাই আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিটক আমরা যশোর (০৫) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পরিবর্তন চাই।আজ  বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী ও  সাবেক সংসদ সদস্য আমাদের প্রিয় নেতা খান টিপু সুলতানের দোয়া অনুষ্ঠানে মাইকের তার কেটে দিলেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। মাইকের তার কেটে মাইক ভাংচুর করে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী শোক সভা বন্ধ করা যাবে না।আমরা মণিরামপুরের আওয়ামী লীগ কর্মী কেও আপনার সাথে নাই।ঐই জামাত বিএনপির নেতা কর্মী কে নিয়ে আপনি শোক সভার নামে চাঁদাবাজি করছেন।যাহা বর্তমানে একাধিক পত্র পত্রিকায় এসেছে।আপনি গাড়ি প্রেমিক, আপনার গাড়িতেই তৃপ্তি,আপনার স্কুল নিয়োগের কোটি কোটি টাকায় তৃপ্তি, আপনার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীকে নির্যাতন করায় তৃপ্তি। আর কতো তৃপ্তি নিবেন আপনি?
মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির প্রাণ প্রিয় নেতা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা এডভোকেট খান টিপু সুলতানের ৬ষ্ঠ তম মৃত্যুবার্ষিকী  আজকের এই ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট, পার হতে না হতেই যশোর পাঁচ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান কে হারিয়ে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিলাম। মনিরামপুর উপজেলা সহ তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও কেঁদে ছিলেন। ততকালীন সময়ে তিনি শুধু এমপি ছিলেন না মাননীয় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।আজ সেই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি বলতে চাই।তিনি আমার পিতৃ সমতুল্য তিনি আমাকে বলতেন নাজমা তুমি স্বপন ভট্টাচার্যকে বিশ্বাস করো না তিনি সন্ত্রাসী পালনকর্তা তিনি বাংলাদেশের থেকে অর্থ পাচার করে।তিনি আমাকে সেদিন বলেছিলে তুমি আমার মেয়ের মত।আজকের এই দিনে আমার সেই পিতৃ সমতুল্য খান টিপু সুলতানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।মিলাদ অনুষ্ঠানে এভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম কেঁদে কেঁদে মনের কষ্টকে হালকা করতে চেষ্টা করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন।মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে আওয়ামী লীগের একজন খাটি আওয়ামী লীগ কর্মী কে বেছে নিয়ে নৌকা দিন।আমরা মণিরামপুর বাসি স্বপন ভট্টাচার্যের কাছে নিরাপদ নোই।আমরা আগামী সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পরিবর্তন চাই।
এ্যাডঃ খান টিপু সুলতানের সুযোগ্য পুত্র, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, প্রয়াত খান টিপু সুলতানের সুযোগ্য পুত্র হুমায়ুন সুলতান  বলেন।আমি এই আগস্ট মাসে আমি আমার পিতা সহ বঙ্গবন্ধুর পরিবার কে হারিয়েছি।আজ  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার স্ব-পরিবার,ও আমার আমার পিতা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমার পিতার নিজ বাসভবনে একটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ জামাত বিএনপির রক্ষদাতা একশ্রেণীর আমাদের ধ্বংসকারী মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্যাতনকারী স্বৈরাচার সন্ত্রাসী দল মাইকের তার কেটে দিয়েছে মাইক ভাঙচুর করেছে।এটাকে কি বলে?মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে নির্যাতন করে আপনি মনে করেছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রেমীদের একঘরে করে রেখেছেন।
আজকের এই শোক সভায় তারা আবার ও পরিচয় দিলো তারা জামাত বিএনপির রক্ষা দাতা। আজ   মণিরামপুর বিএনপির সমাবেশ হয়।তাদের মাইকের তার তিনি কাটেন না।তাদের পরিহত করেন না তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন না। যেখানে পুরো বাংলাদেশ জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন সেখানে আপনারা তাদের সাথে আতাত করছেন। ,তারা নাশকতা করলে
 মামলা না নিতে প্রশাসন কে নির্দেশ দেন।আপনি কি মনে করেছেন এভাবে এভাবে আওয়ামী লীগকে নির্যাতন করে মাইকের তার কেটে আজকের শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান বন্ধ করতে পারবেন এটা আপনার ভুল।আজ মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতারা আপনার পরিবর্তন চাই আপনাকে আর মনিরামপুরবাসী নৌকার সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই না।এটা আপনি বুঝতে পেরেই আজকের শোক সভায় মাইকে তার কেটে বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন।আপনি মনে করেছেন সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের পরিবার একমাত্র খাঁটি আওয়ামী লীগ পরিবার,একমাত্র খান টিপু সুলতানের নেতাকর্মীরা এই খাঁটি আওয়ামী লীগ  নেতাকর্মী তাই তাদেরকে আপনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্যাতন করে এসেছেন।হামলা মামলা করে এসেছেন আর নয়। লুটপাটের দিন শেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রিয় নেত্রী আপনার আওয়ামী লীগ নির্যাতনের সকল তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।আগামী ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা  মনিরামপুর উপজেলায় খাঁটি আওয়ামী লীগ কে বাঁচাতে খাটি কর্মী কে মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশা করি।আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে। আমার পিতা আপনাদের প্রিয় নেতার সন্তান হিসাবে। আপনাদের দোয়া ও সমরন চাই।আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এবার নির্বাচনে যাদের জনবল বেশী,জনপ্রিয়তা বেশী।যাহারা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী কে  মূল্যায়ন করেন তাদের হাতেই নৌকা তুলে দেবেন।আপনারা এখানে যাহারা উপস্থিত আছেন আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব নিকটে,আপনারা জনগণের কাছে যেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কে তুলে ধরুন,আওয়ামী লীগের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে সকল কে নৌকায় ভোট দিতে উৎসাহিত করুন।
error: Content is protected !!