মোঃ এমদাদুল হক,মনিরামপুরঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার কেন্দ্রিক বা পাড়া মহল্লায় ঘিরে ধরেছে সুদের টাকা।
এই নিয়ে গরিব অসহায় মানুষ গুলি দিন দিনই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।
অনেকেই বলেন সুদে কারবারির কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিলে প্রতি মাসে। গুনতে হয় ১ শত থেকে ২ শত টাকা।
আর এই টাকা নিতে গেলে করতে হয় স্ট্যাম্প। সেটা না হলে দিতে হয় স্বর্ণ অলংকার। স্ট্যাম্পে লেখা থাকতে হবে বসত বাড়ি অথবা চাষের জমির নাম উল্লেখ করে।
ভুক্তভোগীদের দেওয়া ডেট সেই ডেটের ভিতরে না দিতে পারলে জমি অথবা স্বর্ণ অলংকার চলে যাবে। সুদে কারবারির হাতে গোপন সূত্রে জানা যায় উপজেলার ঢাকুরিয়া বাজারে স্বর্ণ অলংকার অথবা জমির দলিল নিয়ে সুদে কারবারির কাছে নিয়ে আসলেই মিলে সুদের টাকা আর এই টাকা নিয়ে গরীব অসহায় মানুষ কে পড়তে হয় মৃত্যুর মুখে।
আবার অনেকেরই ছাড়তে হচ্ছে চাষের জমি সহ বসত বাড়ি। একজন ভুক্তভোগী সুদে কারবারির কাছে থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তার পরও আসল টাকা শোধ হয়নি বলে জানান সুদ খোর।
এই বাজারে অনেকেই মোটা অংকের টাকা খাঁটিয়ে হচ্ছে প্রভাবশালী। এদের কু-কীর্তির কথা জানতে গেলে অনেকেই ভয়ে খুলতে চান না মুখ। এমন জঘন্যতম পেশাটি কে বেছে নিয়েছে বৃত্ত শালী লোক থেকে শুরু করে সমাজের কিছু মানুষ।
আবার অনেক সময় দেখা যায় এনজিওর নামে চালিয়ে যাচ্ছে সুদে কার বার। সাধারণ জনগণের দাবি সুদ খোর দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলে দাবী জানান সরকার ও প্রশাসনের কাছে।