নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুজন সখী সাহিত্য পরিষদ-এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক গুণিজন সংবর্ধনা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি শুক্রবার (৩ মে) দিনব্যাপী দুই পর্বে পরিচালিত হয়। সকাল ১০ টা শুরু হয় প্রথম পর্ব শেষ হয় দুপুর ১টায়। দ্বিতীয় পর্ব বিকাল ৩ টায় থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
অনুষ্ঠানে সুজন সখী পরিবার থেকে উপহার পাওয়া এক কালারের পাঞ্জাবি ও শাড়ি সকল অতিথি ও কবি সাহিত্যিক পরিহিত ছিল যা, হল রুম অনেক সুন্দর ও নান্দনিকতায় ফুটে উঠেছিল।
১ম পর্বে সংগঠনটির সভাপতি মোছা. বিলকিস খানমের সভাপতিত্বে নান্দনিক পরিবেশে মনোমুগ্ধকর আবহে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন সুজন সখী সাহিত্য পরিষদের মহাসচিব মল্লিকা রহমান লিপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও ছড়াকার আসলাম সানি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক দেশজগত পত্রিকার সম্পাদক, বহুগ্রন্থ প্রণেতা কবি ও গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী ও কবি ও ছড়াকার আতিক হেলাল প্রমুখ।
২য় পর্বে কবি, সাহিত্য ও সমাজসেবক অবনী মহন মিত্র-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের প্রধান কবি নির্মলেন্দু গুণ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লেখক, সংগীতজ্ঞ ও গবেষক প্রাকৃতজ শামীমরুমি টিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলে, কবি ও সংগঠক মোসলেহ উদ্দিন, কবি ও সংগঠক বেল্লাল হাওলাদার, কবি ও কথাসাহিত্যিক জহিরুল হক বিদ্যুৎ, কবি ও সংগঠক ডা.আব্দুল হাকিম, কবি সংগঠক মোঃ সোহাগ ও কবি ও সংগঠক মুহাম্মদ আবু তাহের এছাড়াও আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় সাহিত্যের নানাদিক আলোচনার পাশাপাশি সুজন সখী সাহিত্য পরিষদের এমন নতুনত্ব ব্যতিক্রমী আয়োজন সংগঠনের বিস্তারে ভূমিকা রাখবে এবং সাহিত্যসেবীদের নতুন সৃষ্টির ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেন। এমন আন্তরিক আয়োজনের জন্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সুজন রায়সহ সংগঠনের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কবি সাহিত্যিকদের আত্মার মেলবন্ধন সৃষ্টির রূপরেখা হিসেবে এগিয়ে চলুক, ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা করে সংগঠন ও সংগঠকদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন, কলকাতার বিশিষ্ট নাট্যকার, কবি ও বাচিকশিল্পী বসুমিতা বসু এবং তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সুজন রায়। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন আগত কবি-সাহিত্যিকরা।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কয়েকজনকে স্বর্ণপদক, স্বর্ণের চেইন এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লেখক সম্মাননা প্রদান করে উৎসাহিত করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি গবেষণামূলক পত্রিকা ধ্রুববাণী’র অফিসিয়াল পেইজ (দৈনিক ধ্রুববাণী) থেকে সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করা হয়।