রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
মছদ্দর আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ও নেই কোন তালিকায় নাম বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ সোকেন মানবতার জীবন যাপন করছে দেখার কেউ নেই ভাঙা পা নিয়েই অটো ভ্যান চালাচ্ছেন রাশেদ শার্শায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ইসলামপুরে শিবিরের সুধী ও জননশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত  একটি গাভীর তিনটি বাছুরের জন্ম কুরআনের আইন ছাড়া মানুষের শান্তি হবে না রৌমারীতে ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত রাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ যশোরে কুয়াদায় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত হবিগঞ্জে হত্যা ও নাশকতার মামলায় ২জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত যশোরের রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঝিকরগাছায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা ফুলবাড়ীতে শহীদি মার্চ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি  বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে রামগজ্ঞের বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পাটগ্রামে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন রৌমারীতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক যশোরের পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা নড়াইলে কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২  সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে “এক টাকায় বাজার” নড়াইলে সড়কও জনপদ বিভাগের আওতায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু যশোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে- এড. শহীদ মোহম্মদ ইকবাল হোসেন আজ সাতসকালে ছত্তিশগড়ে গভীর জঙ্গলে সি আর পি এফের গুলিতে খতম ৯ মাওবাদী দেশের আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি

মোঃ বুলবুল হোসেনের লেখা গল্প “মিষ্টি প্রেম”

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ৩৮ বার পড়া হয়েছে
সময় রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

মোঃ বুলবুল হোসেন:

তুমি বলতে চাও যে তুমিটা ভীষণ আপন। মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে নদী বলল, তুমি আমার সাথে কখনো রাগ করবেনাতো আবদারের সুরে বলল। সাগর হেসে বলে,বেশ তো আমার ময়না । এবার চলো খেয়ে নেবে। নদী হেসে বলে তুমি খাবে তো আমার সঙ্গে। সাগর হেসে বলে,কখনও এমন হয়েছে তোমাকে ছাড়া আমি আর আমাকে ছাড়া তুমি খেয়েছো। হেসে ঘাড় নেড়ে হাঁ করে। সাগর ওকে খাইয়ে দেয়। তারপর নিজেও খেয়ে নেন । খাওয়া দাওয়া শেষ বিশ্রাম নেয়। এই নদী ওঠো না। দেখো বাইরে কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে। চলো আমরা বৃষ্টিতে ভিজি ।নদী বলে, আচ্ছা এক কাজ করলে কেমন হয়। সাগর বলল, কি কাজ বলো তুমি ভিজবে আমি ছবি তুলবো। ওকে তুমি যেটা ভালো মনে কর।এদিকে নদীর আর সহ্য হচ্ছে কিন্তু দরজা বন্ধ। রাগে জানলার কাঁচটা ভাঙতে যায়। সাগর বকা দেয়। আহ, কি হচ্ছে নদী আঘাত পাবে তো।খাওয়া-দাওয়া শেষে সাগর ঘুমিয়ে পড়ে।এরই মধ্যে হঠাৎ নদী এসে বলে, চলো আমরা ছাদ থেকে ঘুরে আসি। সাগর বলে,খালি পাগলামী। কোথায় দরজা বন্ধ?এই তো খোলা । আমি ভেতরে এলাম কি করে? সাগর বলল, তোমার বাবা আমাকে অনেক মেরেছে। নদী বলে দেখি কোথায় মেরেছে। সাগর এই দেখো কিভাবে মেরেছে। সারা গা হাত পায়ে যন্ত্রণা করছে। মাথাটা এখনও ব‍্যথা করছে।

সাগরের এই অবস্থা দেখে নদী কাঁদতে কাঁপতে বাসায় চলে আসে বাসায় এসে কান্নাকাটি করে। এদিকে সাগরের মনটাও ভালো নেই, তাই রাতে সাগর নদী রুম চলে আসে।নদী বলল,তবে এলে কেন?চলে যাও।”সাগর হেসে বলল,ধ‍্যাৎ। তাই হয় নাকি। তোমায় ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি। চলো ছাদে চলো বসে গল্প করি। কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে দেখবে চলো। আজ ফাল্গুনী পূর্ণিমা যে। সাগর ও নদী চুপিচুপি ছাদে আসে। কি সুন্দর জ‍্যোৎস্নার আলো চারিদিকে। নদী আনন্দে গান গায়, নাচে। তারপর নাচতে নাচতে ছাদের একপাশে চলে যায়। সাগর বকা দেয়,বলে এই চলে এসো বলছি। তুমি যদি পড়ে যাও আমার কি হবে।নদী তোমার বাবা কেস করবেন বলে ধমকায়। এরপর তারা ছাদ থেকে নেমে এসে সাগর বাসায় চলে আসে।এবার ও নদীর বিয়েতে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয় সাগর। বিয়ে ভাঙ্গার অপরাধে কি মারটাই না মেরেছিল নদীর বাবা আর নদীর ভাইয়েরা। সাগরকে এতো মার মেরেছে মাইর খেয়ে শেষে সাগর মারা গেলো। সাগরের মৃত্যুর কথা শুনে নদী পাগল হয়ে যায়। নদী কে পাগল করে রেখে গেলো। পাগলা গারদের আয়া কে নদী তখনও বলছে। সাগর খেয়েছিলো তো কাল রাতে। তারপর নদী বলে, সাগর খাও এই বলে কত ভাত মেঝেতে ছড়াচ্ছিল। তারপর নদী বলে সাগর চলো আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে যাবো। তাও জানলার কাঁচ ভেঙে। হাসপাতালে লোকজন নদীকে জোর করে এনে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।

আসলেই নদী ঘুমিয়ে ছিলনা। কিছুক্ষণ পড়ে আয়া এসে দেখে নদী তার রুমে নেই। হাসপাতালে লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছাদে চলে যায়। ছাদে গিয়ে দেখে কোথাও নেই নদী ।হঠাৎ নিচে খেয়াল করে দেখে অনেক মানুষের ভিড় জমিয়েছে। হাসপাতালে সকল লোকজন নিচে চলে যায়। তারা দেখতে পায় নদীর লাশটা পড়ে আছে। নদীর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। নদীর বাবা এসে কান্নাকাটি করে। পরবর্তীতে ডাক্তার নদীর বাবাকে বললেন,কি লাভ হলো আপনার। জানতেন যখন নদী ও সাগর মধ্যে প্রেমে ছিল।পাগল দুটো কে বিয়েটা দিয়েই দিতেন। সাগর তো ভীষণ ভালো বাসতো নদী কে। আর নদী তো সাগরের প্রেমে পাগল হয়ে প্রাণটাই খোয়ালো। আমরা বড়রা বলুন তো কেনো, আমাদের ছেলে মেয়েদের প্রেম মেনে নিতে পারি না। হয়তো অনেকেই প্রেমে পাগল হয়ে থাকে । আজকে যদি আপনি তাদের প্রেমটা মেনে নিত তাহলে হয়তো এমন হতো না। প্রেমে পাগল ছিল বলেই না সাগর ও নদী প্রেমে জন্য প্রাণটাও দিয়ে দিয়েছে। কারণ সাগর চলে যাওয়া দিন নদী মেনে নিতে পারেনি। আসলেই নদী অনেক আগেই সুস্থ হয়ে গিয়ে ছিলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!