হাড়-কিপটে
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন:
বড় বাড়ির বড় ছেলে কূব্বাত হাড় কিপটে:
খরচের কথা শুনলেই, ওঠেন উনি সিটকে! সারাদিনের মাথা ব্যথা – খরচ হলো বলে’
ভয়ে ভয়ে থাকে কূব্বাত ‘এই বুঝি যায় গলে।
ফ্রি দাঁতণে শুরু সকাল, ভাল দাঁতের জন্য: খালিপেটে পানি খায়’ মণিষীরা ধন্য।
বাবা যদি বলেন-‘বাবা ওষুধ শেষের দিকে:
ভাইদের বলছি দাঁড়ান’ কূব্বাত যান বেঁকে;
কটা পান আনবি বাবু’ বাজারেতে গেলে! ছোটছেলের বাগান থেকে আনোনা-গো’ মা তুলে।
বউ যদি বলে” মাছ টাছ বাজার গেলে হয় না? আজ কি বার” তুমি কি তা বুঝি জান না?
শাকপাতা কত দিন ‘অন্য সব্জি আনা যায় কি?’ ‘সারহীন’ পোকা ‘বেগুন’ ফ্রিতে ‘দেখি পাই কি!’
মেয়ে যদি বলে ‘মাস-তো শেষ বাবা টিউশান ফি দেবে?’ ‘
কদিন চালিয়ে নাওতো সোনা, পরে নিয়ে নেবে।
মোবাইল কিনতাম..’ ভুলেও যদি ছেলে বলে ফেলে; অমনি বউকে বলে ‘দেখোগো তোমার ছেলে কি বলে?
ভিখারিরা ভুল করে- ‘মাগো দুটো ভিক্ষা দেন’
বি-আদব বাড়িতে ঢুকে পড়েছিস নেই বুঝি তোর জ্ঞান?
পাড়ার ভাইরা- এবং নিজের ভাই দেবেন মসজিদের এক্সতো দান।
বউ-আত্মীয় স্বজন’ কজন এখন আসতে চায়’
ও মাগো কি পেট ব্যথা’ কূব্বাত বিছানাতে যায়;
ঈদের সময় তবে আসুক বাবা মা ভাই বোন?’ ছেলেমেয়েদের মামা বাড়ি নিয়ে যাবো তখন।
অফিসের বন্ধুরা-‘কিরে কূব্বাত একদিন চা-নাস্তা নাই খাওয়া’
আসছি দাঁড়া’ বলে কূব্বাত সেখান থেকে হাওয়া: সেদিন তো খেতে দিলিনা আজ খাইয়ে দিবিতো চল: বলে বাবার শরীরটা খুব খারাপ, আজ মনটা বড়ই চঞ্চল।
কিছু একটা করতেই হবে’, ‘দিতে হবে বড়করে শিক্ষা’
না হলেতো নত শিরে নিতে হবে কৃপনতার দিক্ষা’; পাড়ার যতো অনুষ্ঠান, আছে কৃপণ প্রতিযোগিতা; কূব্বাত হলো প্রতিযোগি, নিয়ে সকলের করে সহযোগিতা।
গোটাকয়েক গুড়ের পিঠা আর এক গ্লাস জল,
কম পিঠা খরচ প্রমান করতে পারলে তবেই হবে সফল।
কেউ একখানা কেউ আধা কেউবা ফোটাছিটে.. সূর্যালোকে জলের গ্লাস ধরে কূব্বাত নিলেন পিঠে।