যশোর মণিরামপুর উপজেলায় ধুমধাম করে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশেষ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য(এমপি)।তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। দিবসটি উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। খবর বাসসের।১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এ দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন এ সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।
তিনি আরো বলেন
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা মনে করেন ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ‘৬২-এর ছাত্র আন্দোলন ৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ ৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং’ ৬৯-এর গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখ-ে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।এসময় আরো বক্তব্য রাখেন,তরুন আওয়ামী লীগ নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য (শুভ)
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মণিরামপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক উওম চক্রবর্তী (বাচ্চু)উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার,ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন,প্যানেল মেয়র কামরুল ইসলাম, তরুন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ বসির আহম্মেদ,
পৌর কাউন্সিলর আজিম হোসেন, বাবুলাল চৌধুরী, সুমন দাস,আয়ুব পাটোয়ারী, কুদ্দুস হোসেন,
উপজেলা যুবলীগ নেতা রিপন হোসেন,রবিউল ইসলাম(রবি),যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন হোসেন(আলা)শ্যামকুড় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন,মহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, পৌর যুবলীগ এসএম লুৎফর রহমান,
নেতা শফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান,
সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।