নিজস্ব প্রতিবেদক যশোর:

মণিরামপুরে আওয়ামী লীগের পক্ষে বিএনপি করছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি না আসার ঘোষণা দিলেও যশোর মণিরামপুরে একাধিক বিএনপির নেতা কর্মী কে দেখা মিলছে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট করতে।যে কারনে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির ভোটারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অনেকেই মনে করছেন বিএনপি করে হামলা মামলার স্বীকার হওয়ার থেকে আওয়ামী লীগে যোগাযোগ করায় অনেক ভালো।

এছাড়াও বিভিন্ন কৌশলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে আতাত করে ধিরে ধিরে আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন বিএনপির নেতা কর্মী।দীর্ঘ ৪বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে বিএনপি বড়ো বড়ো নেতা কর্মীর সন্তানরা করছেন ছাত্র লীগ, যুবলীগ।

বিএনপি উপজেলা পর্যায়ে নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগে নিয়মিত প্রচার প্রচারণা বক্তব্য রাখছেন।যে কারনে বিএনপির সমর্থক ভোটারা বিএনপির উপরে রাখছেন না আস্তা।তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির একাধিক ইউপি সদস্যরা জানায় মণিরামপুর উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দীর্ঘ ১৫/২০ বছর জণগণ কে পুজি করে ভোট বিক্রির সুযোগ নিচ্ছে।আমরা আমাদের মাথা বিক্রি হতে দিবো না,আমরা নিজেরাই পরিবর্তন হতে চাই।
যেখানে বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন কেন্দ্র। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি। ভোটারদের ভোট কেন্দ্র আসতে বাঁধা-ও প্রয়োগ করেন বিএনপির নেতা কর্মীরা।উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি না আসার ঘোষণা দিলেও দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির বড়ো নেতারাও যে কারনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাবে বহিষ্কার-ও করেছেন।এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মানছেন না অনেকেই।

বিএনপির একাধিক নেতা কর্মী জানায় মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে নিজের পরিবার ছেড়ে খেয়ে না খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি ফেরারী আসামীর মতো।আমাদের বয়স প্রায় শেষ এখন আর রাজনীতির বয়স নেই।এখন অবসরে যাওয়ার সময় এসেছে।উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করছি শুধু মাত্র নিজে ও নিজের পরিবার কে নিরাপদে রাখতে। তবে এটা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নিচ্ছেন না।

মামলার ভয়ে আমরা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে ভোট করছি বাধ্য হয়ে। কিন্তু বিএনপির সাধারণ ভোটারা ভোট দিতে আসবে কি না সে বিষয়ে আমরা স্পষ্ট নয়।সাধারণ বিএনপির ভোটারদের কাছথেকে জানাযায় উপজেলা পর্যায়ে নেতা কর্মীদের কথা আর শুনছি না।বিএনপি করে কি লাভ এমন শত প্রশ্নের মুখোমুখি সাধারণ মানুষ। যে কারনে ভুলতে শুরু করেছে বিএনপি কে।আতাত করে একে একে যোগদান করছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।

এ দিকে বিএনপি কে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণসংযোগ ভোট চাইলেও,দেখা মেলেনি বিএনপির শরীক দল জামাত শিবিরের।পাড়ায় মহল্লার চলছে যেমন বিএনপি কে নানান জল্পনা কল্পনা, তেমনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘ যাবত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও তারা এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী জনসভা ও গণসংযোগে পাচ্ছেন না বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ।

অনেক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী জানায় দীর্ঘ ৪ বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও সরকারি সুবিধা পেয়েছেন বিএনপি। অনেকে কোটিপতি বনেও গিয়েছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে কোন
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডঃ শহীদ ইকবাল হোসেন জানায়,এই সরকারের অধিনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।আমরা গত সংসদ নির্বাচন,ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছি গ্রাম থেকে শহরে সমগ্র জনগণের মাঝে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেছি।স্হানীয় সরকার নির্বাচনেও বিএনপির একই নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কখনোই যাবো না।আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।

প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও, উপজেলা, ও ইউনিয়নের অধিকাংশ বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগের, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ সহ সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চাইতে দেখা মেলে।বিশেষ করে যশোর জেলার মধ্যে মণিরামপুর উপজেলাতে।

এদিকে উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যলয়ে এসে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডঃ শহীদ মোহম্মদ ইকবল হোসেন এর নিকট, ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার জালাল উদ্দিন, ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বিএনপির রাজনীতি অব্যহতী পত্র জমা দিয়েছেন।এবং প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে গণমাধ্যম কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করে।