স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলের নড়াগাতী বাজারে পলাশ সাহার দোকানের তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত চোর চক্রের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ জুলাই) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা ওই দোকান থাকা নগদ ৬০ টাকা ও আনুমানিক ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানান ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় নড়াগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করেছেন তিনি।
ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে ওই বাজারের ব্যবসায়ী বিজয়, আল আমিন, জামির, হাবিবুল্লা, নিরঞ্জন ও ইমরুলের দোকান ও চুরি হয়েছে। পাহারাদারেরা চোর সনাক্ত করে দিলেও প্রভাবশালী হওয়ায় বাজার কমিটি তাদের কোন বিচার করেনি। সম্প্রতি ডিউটি শেষে বাজারের একটি দোকানের তেল চুরি হলে সভাপতি রুবেল চৌধুরী ও ক্যাশিয়ার জামাল মোল্যা পাহারাদারদের ওপর দ্বায় চাপিয়ে জোরপূর্বক ১৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করেছে বলে জানান জনৈক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ।
জানা যায়, বাজারে ৪ জন পাহারাদারের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা বেতন হিসাবে প্রায় ২ শত দোকানদার মাসিক সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ করে ক্যাশিয়ার জামাল মোল্যার কাছে জমা দেন। অথচ ৩ জন পাহারাদার দিয়ে ডিউটি করিয়ে ৪ জনের টাকার হিসাব দেখিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করে কমিটি। এদিকে বাজারের সাধারণ সম্পাদক অলিপ সাহা গোপালগঞ্জে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা খুলে ব্যবসায়ীদের কোন কাজেই আসেন না বলে জানা গেছে। সভাপতি ও ক্যাশিয়ারের একক সিদ্ধান্তেই চলছে কমিটির কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা আদায়কৃত অর্থের হিসাব চাইলে ক্যাশিয়ার কোন সদুত্তর না দিয়ে সভাপতির ওপর দ্বায় চাপিয়ে দেন।
পাহারাদারদের সর্দার বিনয় জানান, চোর ধরে দেওয়ার পরও বিচার না হওয়ায় আমাদের বদনাম হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমাদের ডিউটি টাইম শেষে একটি দোকানের তেল চুরির দ্বায় আমাদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা বেতন থেকে কেটে নিয়েছে সভাপতি ও ক্যাশিয়ার।
দোকানের মালিক পলাশ সাহা বলেন, আমি ৪০ বছর যাবত নড়াগাতী বাজারে ব্যাবসা করি ‘অনেক কষ্ট করে এই ব্যবসা গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু চোররা আমার সর্বনাশ করেছে। এবিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, চুরির বিষয়ে আইনগত উপায়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।