নড়াইলে ২ মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 6 months ago

সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের ২ সদস্য ৪০০ টি অবৈধ মোবাইল সিম ও ৮ টি মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন দহকোলা গ্রামের মোহাম্মদ আয়ুব আলির ছেলে মোহাম্মাদ তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও মসারত মন্ডলের ছেলে মোহাম্মাদ কুবাদ আলী (৪২)।

২৯ মে (বুধবার) সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন নওয়াপাড়া গ্রামের মো. আরিফুর জ্জামান (২৬) পিতা মো. সাইদ শেখ এর বড় ভাই মো. আল আমিন শেখ (২৮) দুই বছর পূর্বে লিবিয়ায় যান।

গত মার্চে মোহাম্মাদ আল আমিন শেখ তার ভাইকে জানায় যে, ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাদের একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। অতঃপর অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় যে, তার ভাইকে বাঁচাতে হলে বিকাশের মাধ্যমে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা দিতে হবে। এছাড়া আরো বলে টাকা না দিলে তার ভাইকে তারা মেরে ফেলবে। এরপর উক্ত ব্যক্তি মো.আল আমিন শেখকে মারধর করার কিছু অডিও, ভিডিও এবং ছবি প্রেরণ করে।

এজন্য ভিকটিমের পরিবার উক্ত ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ নাম্বারে তিনবারে তাদের দাবিকৃত ১০ (দশ) লক্ষ টাকা প্রেরণ করে। কিন্তু উক্ত মানব পাচারকারী চক্রটি আরো টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিকটিম মোহাম্মাদ আল আমিন শেখকে আবারও মারধর করতে থাকে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ছোটভাই মোহাম্মাদ আরিফুর জামান লোহাগড়া থানায় গত ৬ মে ২০২৪ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। মামলা নং-০৮, ধারা-২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭ ধারায় রুজু হয়।

মামলা রুজু হওয়ার পর নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মেহেদী হাসানের নির্দেশনায় জেলার সিসিআইসি ও গোয়েন্দা টিম মাঠে নামে। অতঃপর গত ২৮ মে মঙ্গলবার তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ ছাব্বিরুল আলম এবং সিসিআইসি শাখার ইনচার্জ মোহাম্মাদ শাহ দারা খানের নেতৃত্বে লোহাগড়া থানার টিমসহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন দহকোলা গ্রাম হতে আসামী মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম (৩৫) পিতা-মোহাম্মাদ আয়ুব আলী এবং কুবাদ আলী (৪২) পিতা- মসারত মন্ডল কে গ্রেফতার করে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পলাতক অন্যান্য আসামী এবং লিবিয়ায় অবস্থানকারী মানবপাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় লিবিয়াতে মানুষকে আটক রেখে মারধর করে অডিও, ভিডিও ও ছবি প্রেরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে ৪০০ টি অন্যের নামে নিবন্ধিত অবৈধ মোবাইল সিম এবং ৮ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। মানব পাচার চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

error: Content is protected !!