এস,কে বাপ্পি,খুলনা ব্যুরো:
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ভদ্রদিয়া গ্রামে প্রভাবশালী একটি কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে এক ব্যক্তির নিজ নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠৈছে।
দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়,উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের ভদ্রদিয়া গ্রামের বিমল কৃষ্ন সরকার ও শ্যামল কৃষ্ন সরকারের ভদ্রদিয়া মৌজার জেল নং – ২৯ সিএস- ১০৫২ নং দাগে বিআরএস ২৪,৯৪,২৪,৮৪ নং দাগে তাদের নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করছেন একটি কুচক্রী মহল।
এলাকাবাসী ও সরেজমিন তথ্য সূত্রের অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের ভদ্রদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নগেন্দ্রনাথ সরকারে ছেলে বিমল কৃষ্ন সরকার গংদের সম্পত্তিতে গত ২৯ মে ২০২৩ ইং সোমবার মধ্যে রাতে আনুমানিক ১২ টার দিকে প্রভাবশালী একটি কুচক্রী মহলের নেতৃত্বে ভেঁকু দিয়ে মাটি কেটে অবৈধ ভাবে রাস্তা নির্মাণ করছে ঐ রাতে বিমল কৃষ্ন সরকার গংরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তী বিমল কৃষ্ন সরকার গংরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান কে অবগত করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউপি সদস্য সনজয় মল্লিকে নির্দেশনা দেন রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি আইনের পরিপন্থি হলে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন, ইউপি সদস্য ঘটনাটি সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী বিমল কৃষ্ণ সরকারের নিকট জানতে চাইলে,তিনি বলেন,প্রভাবশালী একটি কুচক্রী মহল তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য রাতের অন্ধকারে আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করেছেন আর এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভদ্রদিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিরেশ্বর মল্লিকের ছেলে অরুণ মল্লিক গংরা।ভুক্তভোগী বিমল কৃষ্ন সরকার বলেন,রাস্তা হোক এটা আমিও চাই,তবে নিয়ম মেনে হোক এতে আমার কোন আপত্তি নেই,তিনি আরোও বলেন,প্রভাবশালী এই অরুণ মল্লিক গংদের নেতৃত্বে এলাকায় এমন বহুবিধ খারাপ কাজের অভিযোগ রয়েছে, তিনি বলেন, অরুণ মল্লিক নাকি বলেছেন, শশানে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা নির্মাণ করছেন কিন্তু এলাকাবাসী ও ঐ এলাকার স্থানীয়রা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না ,এখানে কোন শশান পূর্বে ছিলোনা কিন্তু ধর্মীয় অনুভুতিকে পুঁজি করে রাতের অন্ধকারে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার কাজে নেতৃত্বদানকারী অরুণ মল্লিক গংদের এই ন্যাকারজনক কাজকে তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী এবং এই এলাকার মন্দির কমিটি,পুজা উদযাপন পরিষদ, শশান কমিটির ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। এলাকাবাসী ও একই এলাকার পারিপার্শ্বিক জমির মালিক গণ বলেন, এখানে রাস্তা নির্মাণ করা হবে মর্মে সরকারী ভাবে কোন নির্দেশনা বা চিঠি আমাদের কাছে আসেনী,আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে অরুণ মল্লিক গংরা রাতের অন্ধকারে যে রাস্তা নির্মাণ করেছে সেটা সম্পুর্ণ অবৈধ বেআইনী, এটা তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য এই কাজ করেছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত অরুণ মল্লিকের নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, রাতের অন্ধকারে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা আমার ভুল হয়েছে,বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ এর নিকট রাস্তা নির্মাণ ও শশান যাওয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান বলেন, উপজেলার পূর্ব ভদ্রদিয়ায় রাতের অন্ধকারে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পরে,স্থানীয় ইউপি সদস্য সনজয় মল্লিক কে বিষয়টি দেখে আইনের পরিপন্থি হলে কাজ স্থগিত করার নির্দেশনা দেই।
এ বিষয়ে খর্ণিয়া ইউনিয়ন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দে বলেন,ঐ খানে পূর্বে কখনো শশান ছিলোনা,আবার শুনেছি একটি কুচক্রী মহল রাস্তা নির্মাণ করেছে রাতের অন্ধকারে, যাই হোক নিয়ম মেনে হোক ধর্মীয় অনুভুতিকে পুজি করে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে ভদ্রদিয়া পুর্বপাড়া রাঁধা গোবিন্দ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মল্লিক, স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির মালিক মনোজ সরকার, বিশ্বনাথ করার প্রতিবেদককে বলেন, অরুণ মল্লিক গংরা শশানে যাওয়ার কথা বলে রাতের অন্ধকারে আমাদের রের্কডীয় জমির উপর দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করছেন,যা সম্পুর্ণ বে আইনী, ভদ্রদিয়া মৌজার ম্যাপে ঐ খানে কোন রাস্তার চিহ্ন নাই বা ঐ খানে কোন শশানও পূর্বে ছিলোনা, যাই কিছু হোক নিয়ম মেনে হোক এটা আমাদের সকলের দাবি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সনজয় মল্লিক বলেন, পূর্ব ভদ্রদিয়ার ঐ রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানিনা,ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।