ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন 

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টারঃ

যশোরে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ইমনের খুনিদের অবিলম্বে আটক ও বিচার এবং হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এই দাবি করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মুরাদ হোসেন, যুবলীগের আহবায়ক ইশারত আলী, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম বিপুল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি কাজী শারমিন সুলতানা তমা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কাজী মোহাম্মদ আলী ক্লে ও সদর উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আলী, ০৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল, যুবলীগ নেতা আনিচুর রহমান মুক্তি প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া ইউনিয়নের নীমতলী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবকের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আলীকে হত্যাচেষ্টা করে।

খবর পেয়ে ইমরানকে উদ্ধার করতে সেখানে হাজির হন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ প্রশাসনের লোকজন। কিন্তু ওই সময় কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবকের মোবাইলে একাধিকবার রিং করে তার লোকজন দিয়ে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করানোর জন্য অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ। কিন্তু লুৎফর চেয়ারম্যান কোনো গুরুত্ব দেননি। ওইসময় লুৎফর চেয়ারম্যানের লোকজনের ২য় দফায় হামলায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ইমন খুন হন। একই সাথে ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ আলী ক্লে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আলী, তাদের সহযোগী যুবলীগ নেতা অপু, শহিদুল ইসলাম ও বট্টুসহ কয়েকজন। এই ঘটনায় নিহত রাকিবের পিতা ১২ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিনে একজন ছাড়া আর কোনো আসামি আজও আটক হয়নি। ফলে ওই খুনিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা ধরণের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করছে। পাশাপাশি লুৎফর চেয়ারম্যানের ভাইপো মফিজের বাড়িতে নিজেরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রামের নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার চেষ্টা করছে। একই সাথে রাকিব হত্যা মামলার স্বাক্ষী মোহাম্মদ আলী ক্লে ও ইমরান আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা আরো একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছে। আর এই সকল মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকায় ছাপিয়ে লোকজনদের বিভ্রান্ত করছে।সংবাদ সম্মেলনে রাকিবের খুনিদের অবিলম্বে আটক ও বিচার, এবং হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানিয়েছেন কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

error: Content is protected !!