গর্ভবতী মহিলার দায়িত্ব নেবে কে

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 2 years ago

অমিতাভ মল্লিক প্রধান ক্রাইম রিপোর্টার:

যশোর মণিরামপুর উপজেলা উওর ভরতপুর গ্রামে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে অনশন করা সেই মহিলা গভীর রাতে  মারধর করা হয়েছে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে ডলি নামের ওই মহিলা মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে অনশনকারী মহিলা ডলি খাতুন বলেন,আমি আরাফাতের বাড়ির শিড়ির উপর বসে ছিলাম, স্থানীয় মহিলা মেম্বার রাবেয়া বেগম সহ ছেলের বাড়ির লোকজন এশার আজানের পর আমাকে সেখান থেকে মহিলা মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করেন। আমি গেটর রড হাত দিয়ে ধরে রাখি। তখন মহিলা মেম্বার রাবেয়া বেগম আমাকে গলা ধাক্কা দেয় আমি তখন শিড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ি। আমি বসে পড়ি তখন আমার বোরকা ধরে টানা হেচড়া করে আমার বোরকা ছিড়ে দেয়।তারপর টানা হেচড়া করতে করতে আমাকে রাস্তার উপর নিয়ে যাই। স্থানীয় মহিলা মেম্বার রাবেয়া বেগম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে বিভিন্ন বকাটে ছেলে দিয়ে আজে-বাজে কথা বলায়।পরবর্তীতে মহিলা মেম্বার আমাকে টানতে টানতে তার বাড়িতে নিয়ে যাই। আমি মহিলা মেম্বারের খাটের উপর বসে কান্না করছিলাম তখন পুলিশ এর লোক এসে আমাকে উদ্ধার করে।

এবিষয়ে স্থানীয় মহিলা মেম্বার রাবেয়া বেগম বলেন, কোন হাতাহাতি হয়নি।আমি মহিলা মেম্বার হওয়ায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। আমি তার উপকার করেছি মাত্র।মেয়েটি রাস্তায় ছিলো বখাটে ছেলেরা বাজে কথা বলছিলো আমি তাকে প্রথমে তাকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যান এর বাড়িতে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান এর নির্দেশে আমি তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা উদ্ধার করেছি। তবে এটা আমাদের থানার বিষয় না, এটা কোতয়ালি থানার ঘটনাস্থল টি কোতোয়ালি থানার ।ঘটনাস্থলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গিয়েছিল, তিনি ভালো বলতে পারবেন?

এ বিষয়ক মহিলা কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার বলেন,
আমরা ভেবেছিলাম যুবতি মেয়ে।আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম । মহিলা টি স্বামীপরিত্যক্তা। বিষয়টি আমাদের না।

error: Content is protected !!