মোঃ ওয়াজেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর সদর উপজেলা ১১ নং রামনগর ইউনিয়নে ০৯ নং ওয়ার্ড সিরাজসিংঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক সামছুউদ্দির এর বিরুদ্ধে আবারো আরও এক যুবকের বলাৎকারে অভিযোগ উঠেছে। জানাযায় মণিরামপুর ভোজগাতি ইউনিয়নে ০৫ নং ওয়ার্ড মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের মামুন পশু ডাঃ এর ছেলে তাজ উদ্দিন (১৫) কে বলাৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শিশু সন্তানদের নিয়ে পরিবারবর্গ চরম আতঙ্কে ভুগছেন। এই ঘটনার বিষয় বলাৎকার তাজ উদ্দিনের পিতা মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কাজটি আমার চাচা শিক্ষক সামছুউদ্দীন আমার ছেলে সাথে করেছে এই ঘটানায় আমরা খুবই লজ্জিত। তবে এই ঘটনা ঘটার পর মধ্যে তাদের সন্তানদের বলাৎকার এর আতঙ্কে ভুগছেন, জানি না কখন কি ঘটে যায়। তিনি আরো বলেন , সামছুউদ্দির আমার চাচা হয় গুষ্টিগত এ ঘটনার বিষয় আমার বাপ চাচারা এবং এলাকাবাসীরা স্থানীয়ভাবে বসে ঘটনাটি সমাধান করে দিছেন। কিন্তু সন্তানের খবর একমাত্র মায়েরা বুঝেন।
ভিকটিমের মাতা বলেন, এখন থেকে আমরা তাদের সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই, বেঁচে গেল আমার পরিবারে গুষ্টিগত বলে। মাতা এই ঘটনার বিষয় কিছু বলতে বলতে চেয়েছিল কিন্তু স্বামী মামুন স্ত্রী কথা কেড়ে নিয়ে বলে যা হবার তা হয়ে গেছে আমরা এই ঘটনা মীমাংসা করে নিয়েছি। নাম না বলতে অনিচ্ছুক বিদ্যালয় ও আস পাশে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এক অভিভাবকগণ বলেন, এই সেই প্রধান শিক্ষক যার বিরুদ্ধে গত ২ বছর আগে বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক সামছুউদ্দির গাজী অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার সত্যতা পাওয়া গেলে বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ এবং স্থানীয় জনগণ ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা ঐ শিক্ষক জমি বন্ধক রেখে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবার এই শিক্ষক নিজের গুষ্টির ভিতরে নিজের ভাইপোর ছেলে তাজ উদ্দিনকে বলাৎকার কালে নিজ পরিবারের কাছে ধরা খেলেন। এই ঘটনা পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পড়লে গুষ্টিগত এবং স্থানীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করেছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনা বিষয় স্থানীয় জনগণ জানান এবার না জানি কত লক্ষ টাকা বিনিময়ে এই নেকড়াজনক ঘটনাটি ধামাচাপা দিল। প্রশ্ন উঠেছে এই প্রধান শিক্ষক সামছুউদ্দির এর খুটির জোর কোথায়? এই ঘটনার বিষয় স্কুল কমিটি ও কিছু অভিভাবকগণ নীরব। তবে কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে বা আসতে ভয় পাচ্ছেন কখন না জানি আমাদের সন্তানের উপরে এই ঘটনা ঘটে যায়।
এই ঘটনার বিষয় ইউপি সদস্য রেজাউল কাছে মুটোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিষয়টি বলতে নারাজ। তবে এই ঘটনার বিষয় স্থানীয় এবং অভিভাবকগণ খুবই দ্রুত তদন্তপূর্বক কর্তৃপক্ষের আশু- হস্তক্ষেপ কামনা করেন।