বুলবুল হোসেন:
মাত্র এক দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শিল্পনগরী গাজীপুর ও ঢাকার কর্মজীবী মানুষ। ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন ও ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। বাসের চেয়ে মানুষের ভিড়ই যেন বেশি। এ সুযোগে গণপরিবহনের অসাধু কিছু চালক ও সহযোগী অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসগুলোয় চলছে দরদাম। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তুলনায় বাসগুলোতে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে হতাশা প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। তবে পরিবহন চালকদের দাবি, সড়কের বিভিন্ন স্থানে খরচ বেড়েছে। এ জন্য ঈদে বেশি ভাড়া নেওয়া হয়। বাসের টিকিটের দাম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়তি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের ভাড়া নর্মালি ১০০ টাকা নেয়। আজ সে জায়গায় ভাড়া ৬০০ টাকা করে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সুপারভাইজার কে জিজ্ঞাসা করলে বলে আপনার ভালো লাগলে গাড়িতে উঠেন। আপনাকে জোর করে আমাদের গাড়িতে তুলছি না। দূরপাল্লার যাত্রীদেরও একই সমস্যা।
ঈদে বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে অন্যান্য বাস কাউন্টারের কর্মীদের দাবি, বছরের অন্যান্য সময় মূল্য তালিকার চেয়ে ভাড়া কম রাখা হয়। ঈদে কম রাখা হয় না।
ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় গাজীপুর জেলা, হাইওয়ে ও টাঙ্গাইল জেলা হাইওয়ে পুলিশ একযোগে কাজ করছে। এক পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মহাসড়কে পুলিশ সদস্যরা সবাই যানজট নিরসনে ব্যস্ত।
এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকতে পারেন। তাঁদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় কাউন্টারগুলোকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।