সোহেল রানাঃ
যশোরের শার্শায় অন্যের খতিয়ানের হুবহু ফটোকপি দিয়ে মালিক সেজে প্রতিবেশির কাছে বিক্রির অভিযোগে জালিয়াতি এবং দেওয়ানী কোর্টে মামলা রজুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শায়। সেই সাথে মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকান্ড। জমি জালিয়াতির এক নীরব আকড়া শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।
গোপনে চলে আসছে দীর্ঘ দিন যাবত। তবে সৌভাগ্যক্রমে জানা জানি হয়ে যায় ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে। অন্যের আর এস ৮৩ খতিয়ান ৬৫ নং মৌজা কেরালখালীর গ্রামের মোঃ আব্দুল গফফার মন্ডল ওরফে মোঃ আব্দুস সালাম গফফার পৈতৃক সূত্রে ঐ খতিয়ান ভূক্ত জমির মালিক। খতিয়ানে মোট ১৫টি দাগে মোট জমির পরিমান ২,৩৯ শতক।
আব্দুল গফফার মন্ডল ওরফে আব্দুস সালাম গফফার প্রায় ৫০ বছর যাবত তার ঐ সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি হঠাত করে জানতে পারেন তার নিজ রেকর্ডিয় ৮৩ খতিয়ানের ২০৯১ দাগের ৩৭ শতক জমির মধ্যে ০৭ শতক জমি বে-আইনি ভাবে খতিয়ান ফটো কপি দিয়ে আঃ কাদের এর ছেলে জয়নাল আবেদীন,তরিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পিং মৃত আঃ কাদের এবং আঃ রহিম, মাছুম, ফেরদৌসি, রেবেকা ও মাছুরা পিং মৃত আঃ রউফ গ্রাম কেরালখালী, থানা/উপজেলা শার্শা প্রতিবেশী সরবানু স্বামী বাকি বিল্লাহ’র নামে গত ১৪/০১/২০১৯ তারিখে একটি অবৈধ দলিল করেছেন যার দলিল নং ৪৬৪/১৬।
দলিলের লেখক মোঃ আসাদুজ্জামান, পিতা মৃত নুরুল হক,সাং কেরালখালী। সবাক্ষী তাইজুল হক ,পিতা ম্রিত অফেল উদ্দিন সাং কেরালখালী সর্বসাং শার্শা। বিষয়টি জানতে পেরে ৮৩ খতিয়ানের মালিক আব্দুল গফফার মন্ডল ওরফে আব্দুস সালাম গফফার উক্ত দলিলের নকল তুলে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, শার্শা যশোর আদালতে বিবাদিদের নামে প্রতারণা জালিয়াতি দায়ের করেন যার মামলা নং সি আর ০৩/২০২০ তাং ০৮/০১/২০২০, ধারা ৪০৬/৪২০/১০৯ ।
অপর দিকে সিভিল বা দেওয়ানী কোর্টে উক্ত দলিল রহিতের জন্য বিজ্ঞ সদয় জজ আদালত যশোরে মামলাও করেছেন মামলা নং দেং ২৪/২০২০। আদালতে সব মামলা চলমান। বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলাটির চার্জ হলে বিবাদীরা তামাদি পরে জেলা সহকারী জজ ৫ম আদালতে রিভিউশন করায় বিজ্ঞ জজ মামলাটি খারিজ না করে জুডিশিয়াল ৫ম আদালতে পুনঃ শুনানীর জন্যে প্রেরণ করেছেন।
ইতোমধ্যে কয়েকটি ডেট পড়লেও বিবাদী/আসামিরা কোর্টে হাজিরা না দেওয়ায় তাদের জামিনের বন্ডবেল কেটে যায়। ওরা জানতে পেরে থানা পুলিশের সাথে গোপন আতাতে কোর্টে হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করে জামিন নিয়ে ওয়ারেন্ট এর হাত থেকে রেহায় পায়। এ ঘটনায় আসামী পক্ষ্য ক্ষিপ্ত এবং হন্যে হয়ে আদালতের ১৪৪ ধারা আদেশ অমান্য করে এলাকার অসৎ ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আসামী জয়নাল আবেদীন গং ও আঃ রহিম গং গত ২৮/০২/২৪ তারিখে ফিল্মি স্টাইলে উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করে সামনে এবং উত্তরে তারের বেড়া দিরে ফেলেছে।
জমির মালিক আব্দুল গফফার মন্ডল ওরফে আব্দুস সালাম গফফার নিজে আইন ও আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিবাদী আসামীদেরকে বাঁধা দেয়নি। কেননা বাদী একজন আইন বিশেজ্ঞ এবং সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তিনি হাই স্কুলের একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং শার্শা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সারসা বার্তা, অনলাইন দৈনিক সারসা বার্তার সম্পাদক-প্রকাশক। তিনি বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায় এবং সুবিচারপ্রার্থী।