মাসুম বিল্লাহ্ঃ
বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন,হেনস্তা, হয়রানির ও পেশাগত কাজে বাধার সম্মুখীন যেন সাধারন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা পুরনো বিষয় নয়,এটা যেন চলমান ও ক্রমবর্ধমান ইস্যু হয়ে গেছে।
বেশ কিছুদিন আগে সংবাদ প্রকাশের জেরে জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে হত্যা করা হয়।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম ছিলেন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জামালপুর প্রতিনিধি এবং একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
নির্যাতন ও হেনস্তার শিকারে পিছিয়ে নেই (চবি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা।
গত১৬ -ই জুন ২০২৩ সকাল ১১ টার দিকে দিকে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দুই নং গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নির্বাচনে বাধা প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নূর উদ্দিন খান,শেখ আহাম্মদ,উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আরমান হোসাইন রুমান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. তামজিদুল ইসলাম, ভিএক্স গ্রুপের অনুসারী ও ইতিহাস বিভাগের (২০১৭-১৮ সেশনের) শিক্ষার্থী ইমরান বিন হামিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী কাজি মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন তাদের সহযোগী হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ না করেও নূর উদ্দিন খান ওই সাংবাদিককে প্রশ্ন করে, ভিডিও কেন করছো?
প্রশ্ন করার সাথেই মোবাইল চেক করতে চাইলে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক প্রতিবাদ করেন। ভিডিও ধারন না করেও হেনস্তার শিকার হন।
চবিতে(চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দোস্ত মোহাম্মদ নামে এক সাংবাদিকের মুখে গরম চা ঢেলে দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের(সি এফ সি) আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ। এরপর সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাকে বেধড়ক মারতে থাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা।
সোমবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েক মাস আগে( গত ৯ ফেব্রুয়ারী) পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স ও বাংলার মুখের প্রায় ১৫ নেতাকর্মীর হেনস্তার শিকার হন চবিসাস সদস্য(সাংবাদিক) ও দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তার।
এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ১০ বছরে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ৫৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা, হুমকি ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন (তথ্যসূত্র:ভোরের কাগজ)
মাসুম বিল্লাহ,লেখক ও সাংবাদিক