লিটন সরকার রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কয়েক দিন ধরে কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জসহ শহরের লোকজন। তাদের এমন কষ্ট লাঘবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতার্তদের জন্য কম্বল ও শীতবস্ত্র নিয়ে কয়েক দিন ধরে প্রতি রাতে রৌমারী বিভিন্ন থানার গ্রামাঞ্চলে কম্বল ও সোয়েটার বিতরণ করেছেন তিনি।তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রৌমারী উপজেলার শাপলা চত্বর , হাসপাতাল মোড়, দাঁতভাঙা বাজার, বড়াইকান্দি বাজার, কর্তিমারী বাজারসহ ঘুরে খুঁজে খুঁজে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন তিনি। এতে উপকৃত হচ্ছেন অনেক শীতার্ত মানুষ ও তাদের পরিবার।রৌমারী থানার সহায়তামূলক এ কার্যক্রমে সঙ্গে ছিলেন রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান এবং পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, আমাদের সমাজে বহু সচ্ছল ব্যক্তি আছেন, শীত নিবারণের জন্য তাঁদের শরীর ধাপে ধাপে বিভিন্ন পোশাকে আবৃত করেন। লেপ, কম্বল থাকার পরও বাড়িতে ব্যবহার করেন রুম হিটার, গিজার। অথচ সেই সকল বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তি প্রত্যেকে যদি অন্তত একজন শীতার্তকে সহায়তা করেন, তবে দরিদ্র জনগণকে শীতে কষ্ট পেতে হতো না।তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমি রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে গরিব-অসহায় সম্বলহীন মানুষগুলোর দুর্দশা উপলব্ধি করেছি। হাড়কাঁপানো শীতে শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই একটু উষ্ণতার জন্য রৌমারী থানার পক্ষ থেকে তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীত মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ও তাঁর ব্যক্তিগত সহায়তায় শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।কম্বল ও সোয়েটার পাওয়া এক বৃদ্ধ বলেন, আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন ওসি স্যার। এত দিন পাতলা কাপড় গায়ে দিয়ে ঘুমাইসি। শীত সহ্য করতে পারছিলাম না। এখন কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাব।