শিরোনাম:
শিরোনাম:
যশোরের ঢাকুরিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ ঝিনাইদহের নলডাঙ্গায় বিএনপি’র সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি সমাবেশ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হল জামায়াতের সদস্য সম্মেলন  অপহরণ নয় প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছে হিন্দুধর্মাবলম্বী কিশোরী আদালতে জবানবন্দি  যশোরের মুক্তেশ্বরী নদীতে মাছ শিকারের মহোৎসব নড়াইলে দু পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি অফিস ভাংচুর দুইজন  আহত অভয়নগরে গভীর রাতে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা নিহত ১ আহত ২ রাতের মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চালু হল প্রিন্ক প্রেট্রোল পটুয়াখালীর মহিপুর প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগ থানা বিএনপির বিরুদ্ধে শ্রীপুরের সাচিলাপুর আবাসনে প্রায় হাজার মানুষের জনদুর্ভোগে ক্রমেই ভয়াবহ দেখার কেউ নেই  জাককানইবি সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নড়াইলে আ.লীগের অঙ্গসংগঠন ও সাংবাদিকসহ ৭২ জনের নামে মামলা কুষ্টিয়া পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে  বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার রৌমারীতে রাস্তার কাজ বন্ধ দুর্ভোগে এলাকাবাসি আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি ৭ দিনের রিমান্ডে ইদে মিলাদুন্নাবী (স) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও রেলি অনুষ্ঠিত  দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রয়েছে ওলী আউলিয়াদের, কলকাতার খিদিরপুর খানকা শরীফের ছোট পীর সাহেব সতীঘাটা কামালপুর চাষের মাঠে আমন ধানে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা  ভবদহের স্থায়ী জলাবদ্ধতার সমাধানে টিআরএম চালুসহ নদী রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  সবাই মিলে যদি হই একজোট বাল্য বিবাহ হবে প্রতিরোধ কেশবপুরে এনসিটিএফ এর মনোসামাজিক সহায়তা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি ক্ষমতার পালাবদল হয়ে কি মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হচ্ছে ? নড়াইলে চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যার আসামী আসিফ মোল্লা গ্রেফতার যশোরে নতুন সংগঠন “বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজ”-এর আত্মপ্রকাশ আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের গণতন্ত্র এখনও ফিরে পাইনি খুলনায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ডি‌সির মতবিনিময় নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়িতে মধু পূর্ণিমা উদযাপন ভারতে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এক বিশাল জৌলুস মিছিল ভবদহ এলাকার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

মনে হয় আত্মহত্যা করি, তাতে যদি বেঁচে যাই!

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ২৪ বার পড়া হয়েছে
সময় শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

মো, বেল্লাল হাওলাদারঃ

মাঝে মাঝে মনে হয় আত্মহত্যা করি। তাতে হয়তো এই কষ্টের জীবন থেকে বেঁচে যেতে পারি। কারণ এভাবে একটা মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবি- এটাতো পাপ! কেননা সৃষ্টিকর্তা তো বলেছেনই, আমার উপর ভরসা রাখো। আমিই সব মুশকিলের আসান করি। আর তুমি কিছু দিনের জন্য ধৈর্য ধরতে পারলে না। তাই তো সেই আশায় এখনো অপেক্ষা করে যাচ্ছি, যদি তিনি আমাকে ভালো করে দেন।

কথাগুলো বলছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদীয়া গ্রামের দরিদ্র মো: মোকসেদ মোল্লার ছেলে মো: তারেক। যিনি জন্মের পর থেকেই যুদ্ধ করছেন নানা রোগের সাথে। আর এখনো জানা নেই- আরও কতকালের জন্য তাকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে শরীরের সাথে। না কি জীবনের কাছে হার মেনে অকালেই চলে যেতে হবে মায়ার পৃথিবী ছেড়ে!

তারেক বলেন, কোনো মতে দর্জির কাজ করে জীবনটা চলছিলো। কিন্তু পর পর দুই দুইটা অপারেশেন করতে গিয়ে অনেকটা ভেঙে পড়েছি। আরও একটা অপারেশন করাতে হবে। ডাক্তার বলছে, এই অপারেশনটা হলে আমাকে আর রক্ত নিতে হবে না। কিন্তু এটা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভয়ে আছি। কারণ এর আগে একবার সঠিক চিকিৎসার অভাবে, ইনফেকশন (বিষক্রিয়া) হয়ে দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছে।

জানা যায়, ২৫ বছরের এই যুবক জন্ম থেকেই ভুগছেন রক্ত স্বল্পতাসহ নানা জটিল রোগে৷ মায়ের রোগে আক্রান্ত তারেক ২৫ বছর ধরে লড়াই করছেন হেরেডিটরি স্ফেরোসাইটোসিস’র সাথে। এই রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ মাকে রক্ত দিতে হয় নিয়ম করে। সন্তান তারেককেও নিতে হয় রক্ত নিয়মিত। আর এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে করতে হবে অপারেশন।

জন্ম থেকে অসুস্থ তারেক ইতিমধ্যে দুটি অপারেশনের মুখোমুখি হয়েছেন। আরও একটি অপারেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাকে। তবে অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল এই অপারেশন নিয়ে চিন্তিত অসহায় এই যুবক। কারণ এ বিষয়ে সহযোগিতা করার মতো তার কোনো আপনজন নেই।

চিকিৎসকদের মতে, হেরেডিটরি স্ফেরোসাইটোসিস বা বংশগত রক্ত স্বল্পতা একটি বংশগত রক্তের ব্যাধি। লোহিত রক্ত ​​কণিকার সমস্যার কারণে এটি ঘটে। এর ফলে রক্তের অক্সিজেন বহনের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াসহ শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে অজ্ঞান হওয়া, চেতনা হ্রাস পাওয়া এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধির মতো লক্ষণগুলো বাড়তে থাকে। এর ফলে অস্ত্রোপচারেরও (অপারেশন) প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত মা-বাবা থেকেই এই রোগগুলো এসে থাকে। তবে অস্ত্রোপচারের পর রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়িয়ে দিতে পারে।

তারেক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রোগে ভুগতেছি। মাসের পর মাস ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছি। শিগগিরই অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছে ডাক্তার। নইলে এটা আরও সমস্যা হবে। কিন্তু এর জন্যে অর্থের দরকার। আবার কোনো সরকারি হাসপাতাল থেকে করাতে গেলেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সেখানে পরিচিত লোকজন ছাড়া ভালো সেবা পাওয়া কঠিন। আগের দুই অপারেশন থেকে আমার সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বসবাস করা দক্ষিণ ভবদীয়া (নতুন পাড়া) এলাকায় তারেকের পরিবার এসেছেন বছর কয়েক আগে। এর আগে ছিলেন একই ইউনিয়নের নয়নসুখ গ্রামে। তবে পদ্মা নদীতে বসতভিটা বিলিন হয়ে যাওয়ার পর নিঃস্ব পরিবারটি এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু বৃদ্ধ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তারেকের চিকিৎসার ভারে পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে মা ষাটোর্ধ মোছা: তারা বানু বলেন, আমি অসুখে (অসুস্থ) মানুষ। তারেককে নিয়ে আমাগের (আমাদের) বাইচে (বেঁচে) থাকা। কিন্তু ওর অসুখের কারণে তাও শ্যাষ (শেষ)। আমাগেরে বয়স অইচে (হয়েছে)। কখন বাঁচি কখন মরি, জানি না। কিন্তু আমার বাঁজানটার অসুখ দেখে আরও কষ্ট লাগে। ওপরওলা কে আমাগেরে হাতে (সাথে) এমন করতেছে! আমার ছেলেডার জন্যি (জন্যে) আপনেগেরে কাছে সাহায্যর আবদার করছি।

তারেক বলেন, আমার এই অপারেশনটার জন্যে বিভিন্ন মানুষের কাছে গিয়েছি। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি বা কারও কোনো সহযোগিতা পাইনি। বাধ্য হয়ে পরিবার ঋণ করে আমার চিকিৎসা করাচ্ছে। কারণ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন আর কাজ করতে পারি না। তাই কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমার চিকিৎসায় একটু সহায়তার হাত বাড়াতেন, তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।

তিনি বলেন, আমি বাঁচতে চাই। সবার সাথে মিশতে চাই। বৃদ্ধ বাবা-মাকে সেবা করতে চাই। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তারাই আজ আমাকে সেবা করছেন। আর এটা একটা সন্তানের কাছে কত বেদনার- সেটা বলে বোঝানো যাবে না।

তারেকের জন্যে সাহায্যের আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসীও। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি সহায়তা করতে চাইলে, প্রাণের মেলা জাতীয় কবি পরিষদের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন। মোবাইল-০১৮৬৪৯৫৭৭৪০

যোগাযোগের আহবান জানিয়েছেন অসুস্থ তারেক। তারেক সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক বাবা-মায়ের বুকে- এমনটাই প্রত্যাশা তার প্রিয়জনদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!