মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর সদর উপজেলা ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের সতীঘাটাস্থ ভগবতীপুর গ্রামে সরকারী কিনারে গভীরতম পুকুর খনন এবং মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে ।
বুধবার দুপুরে ভগবতীপুর সরকারী রাস্তার কিনারে গভীরতম পুকুর খনন এবং মাটি কেটে ভাটায় বিক্রির এই দৃশ্য দেখা মেলে। সরেজমিনে দেখা যায় ভগবতীপুর গ্রামে সরকারী রাস্তার কিনারে মাটির ব্যবসায়ী জব্বার অভিনব কায়দায় সরকারি নিয়ম নীতি তুয়াক্কা না করে তিনি গভীরতম পুকুর খনন করেন এবং সেই পুকুরের মাটি কেটে স্থানীয় ভাটা বিক্রি করেন। এই ঘটনার বিষয় মাটির ব্যবসায়ী জব্বার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাটি ব্যবসায়ী ভাটা সিজন আসলে আমরা বিভিন্ন ভাটায় মাটি বিক্রি করি। তবে পুকুরে মালিক আমার কাছে পুকুরে মাটি বিক্রি করেছেন। এবং তিনি বলেন সরকারী রাস্তা কিনারে কতটুকু গভীরতা রেখে মাটি কাটতে হয় এটা আমার জানা নেই। এদিকে এক্সোমিটার ড্রাইভার রায়হান এর কাছে এ সরকারী রাস্তার কিনারে গভীরতম পুকুর মাটি কাটা এবং খননের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গভীরতম পুকুরে মাটি কাটা টাই আমার দৃষ্টিতে খুব খারাপ লাগছে কিন্তু উপায় নাই কর্তৃপক্ষের কথা তো আমাদের মাটি কাটতে হয়। নাম না বলতে অনিচ্ছু স্থানীয়ভাবে জনগণ জানান ভাটার সিজনের সময় আসলে আমাদের এই ভগবতীপুর মাটির ব্যবসায়ীদের অত্যাচার অতিষ্ট হয়ে যায়।
তীব্রতা প্রবাহের কারণে তাদের এই টলির মাটি বহনের কালে চলাচলে সড়কের উপর পড়ে যায় এতেই ধুলোবালির সৃষ্টির কারণ এ সময় বসত বাড়িগুলো তাদের আসবাবপত্র ধুলের পরিণত হয়। শুধু তাই নয় সব সময় আমাদের শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় কখন না জানি কি ঘটনা ঘটে যায়। আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা কিছু বলতেও পারেন না। সেখানে বাধা দিতে গেলে চাঁদাবাজির মামলা পুলিশের হয়রানি জান মালের নিরাপত্তা কথা ভেবেই দিনগুলো অতিবাহিত করতে হয়। । তবে সড়কের চলাচলের ধুলোবালি নিয়ে পরিবার গুলো ধুলোবালি সঙ্গে দিনরাত যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। যার দেখার কেউ নেই। তবে মাটির ব্যবসায়ীরা তারা তাদের নিজেদের ভবিষ্যতে চিন্তা করে। তারা কখনো জনগণের চিন্তা ভাবনা করার সময় থাকে না।
এদিকে সরকারী কাঁচা পাকা রাস্তাগুলো কদমাক্ত রূপের পরিণত থাকে। এ সময় কাঁচাপাকা রাস্তাগুলো যান চলাচল এবং জনগণ জন্য রাস্তাগুলো অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমরা সাধারণ জনগণ এই মাটি ব্যবসায়ীর অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই। এ ঘটনা এলাকাবাসী জনস্বার্থে তদন্তপূর্বক কর্তৃপক্ষকে আশু- হস্তক্ষেপ কামনা করেন।