পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘের মালিক নিঃস্ব

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 2 years ago

অমিতাভ মল্লিক,প্রধান ক্রাইম রিপোটার :

যশোরের মনিরামপুর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাছের ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ । এ বিষয়ে মনিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বাদী এস এম ইমরান আলীর১৬ শতকের একটি পোনা মাছের ঘের আছে। ঘেরের পাশেই বিবাদী মন্টু খায়ের জমি আছে। জমিজমা ও বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধ নিয়ে বিবাদী বাদির মাছের ঘেরের বিদ্যুৎ সংযোগ ও সিসি ক্যামেরার লাইন গোপনে কেটে দেয়।

গত ০৯/০৬/২৩ তারিখে ৭ঃ১০ ঘটিকার সময় বাদীর ঘেরে বিবাদী মন্টু খা প্রবেশ করে ১৬ শতক পোনা মাছের ঘেরে মাছ মারার বিষ ট্যাবলেট প্র‍য়োগ করে।সে সময় বাদীর পাশের ঘেরে কাজ করতে থাকা আমিনুর রহমান ও হাসিনা বেগম বিষয়টি দেখতে পান, দেখতে পেলে বিবাদী মন্টু খা কাপড় দিয়ে মুখ লুকিয়ে দ্রুত ঘটনা স্থান ত্যাগ করে।পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বাদীকে সংবাদ দিলে বাদী ঘটনাস্থলে যায়ে দেখে এবং শোনে মাছের ঘেরে নমুনা পলিথিনে সংরক্ষণ করে। বাদীর ঘেরে আনুমানিক এক লাখ বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর বলেন,সকাল ভোর বেলায় আমি বড় ঘেরের মধ্যে ছিলাম আমি তখন দেখি মন্টু খালের মধ্যে দিয়ে ঘের পাড়ে আসে। তখন মাঠে কোন লোকজন নেই। ঘের পাড়ে আসার পরে ঘেরের পূর্ব পাশে বড়ি মারে, তারপর ঘেরর মাঝের দিকে যেয়ে বড়ি মারে তারপর আমার বড় ঘেরের কাছে যায় ,যায়ে বলে তোর কয়টা গরু এতো গোবর তারপর মন্টু চলে গেলো। তারপর আমার ভাইপো মাছের ঘেরে ১৫ মিনিটের মধ্যে আসলে এসে আমাকে বললো কাকা কাকা ওঠো, মাছ হচ্ছে লাফাচ্ছে। আমি আইসা দেখি মাছের মাথা জলের উপরের দিকে মাছ লাফাচ্ছে। হাসিনা বেগম বলেন, মন্টু খা যখন চলে যাচ্ছে তখন তার মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল শুধু চোখ দেখা যাচ্ছিল।আমার পাশ দিয়ে দ্রুত চলে যায়।

এ বিষয়ে মন্টু খা বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো আমি আমার জমিতে গিয়েছিলাম সকাল ৭ টার দিকে জমিতে কাজ করা শেষে হাসিনা বেগম,সাত্তার ও আমিনুর এর সাথে দেখা হয়। আমার হাতে উচতে ছিলো। তারা যে অভিযোগ করছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তি হীন। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাসানো হচ্ছে।

error: Content is protected !!