নড়াইল সদর নারানপুর গ্রামে গরুর খামারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

সাজ্জাদ তুহিন,নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইল সদর সাহাবাদ ইউনিয়নের নারানপুর গ্রামের খামারী উদ্দোক্তা জাহিদ খানের গরুর খামারে বিষ প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।

জানা গেছে,গত ২রা জুন (শুক্রবার) দিবাগত রাত্রে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গরুর খাবারের মধ্যে কীটনাশক ছিটিয়ে দিয়ে গরুগুলি মেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে সাংদিকদের অভিযোগ করে বিবৃতি দেন খামার মালিক মোহাম্মদ জাহিদ খান।

এবিষয়ে পশু চিকিৎসক সাংদিকদের জানান, বিষযুক্ত পানি ও খাবার খেয়ে ৪টি বিদেশী অন্তঃসত্তা গাভীন গরু এবং একটি বাছুর অসুস্থ্য হয়েছে। সকাল থেকে চিকিৎসা চললেও এখনও আশংকামুক্ত নয়। এঘটনায় গত এক মাসের মধ্যে ৭ লাখ টাকা মুল্যের ২টি গরু মারাও গিয়াছে।

খামার মালিক জাহিদ খান জানান, তিনি ২০ বছর ধরে আড়াই একর জমির ওপর দেশী-বিদেশী জাতের সমন্বয়ে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেন। খামারে বর্তমানে বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৩০টির অধিক গরু রয়েছে। বর্তমান এসব গরুর বাজার মুল্য কোটি টাকার উপরে। প্রতিদিন ১৪টি গাভী গড়ে ১৩০ কেজি করে দুধ দেয়।

তিনি আরো জানান, শনিবার (৩ জুন) সকালে খামারে এসে দেখেন দক্ষিন পাশের সেডের ৪টি অন্তঃসত্তা ও ১টি গরু অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েছে। মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। পরে দেখা যায় যেসব পাত্রে (চাড়ি) গরু খাবার খেয়ে থাকে, সেই পাত্রের পানির রং নীল।

সন্দেহ করা হচ্ছে শুক্রবার রাত ১২টার পর কোনো এক সময়ে এই পানিতে ও খাবারে বিষ মেশানো হয়েছে। কেননা খাবারের পাত্রের পানি বেগুনি কালার ধারণ করেছে। পাশে শুকনা জায়গাতেও ছোট ছোট বিষের দানা পড়ে থাকায় সেখানেও বেগুনি রং ধারণ করেছে। ফুরাডান নামে এ বিষ প্রয়োগ করে গরুগুলিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।

জাহিদ খান বলেন, গত এক মাসের মধ্যে আমার প্রায় ৭ লাখ টাকার দু’টি গরুকে মেরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় শত্রুতার কারণে তার খামারে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমার সাথে শত্রুতা থাকতে পারে। কিন্তু পশুর সাথে এমন শত্রুতার অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

এ বিষয়ে নড়াইলের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অনন্ত পাল কে অবহিত করলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খাবারের সাথে বিষ মেশানো হয়েছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে চুড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে না। গরুগুলির চিকিৎসা চলছে।

ঘটনা সম্পর্কে নড়াইল সদর থানার ওসি মোহাম্মাদ ওবাইদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error: Content is protected !!