মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
যশোর মণিরামপুর উপজেলা কুয়াদাস্ত বলিয়ানপুর আব্দুস সাত্তার (৬০) সুদের টাকা কারবারীদের অত্যাচার নির্যাতনে সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। ১৩/০৭/২০২৪ ইং তারিখ রবিবার সকাল ৯ টার সময় আব্দুস সাত্তার সুদে কারবারীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষপানে এই আত্মহত্যা করে বলে জানান। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুয়াদা বাজারের সুদের কারবারী নাজমুল, আকরাম, রবিউল ইসলাম, তাজমুল এদের ৪ জনের কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়েছিল বলিয়ানপুরের আব্দুস সাত্তার। তবে অনেকদিন ধরে এই আব্দুস সাত্তার সুদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন হঠাৎ রবিবার সকালে তিনি কিস্তির টাকা দিতে না পারায় সুদে কারবারী বিভিন্ন রকমের চাপ সৃষ্টি করে এবং হুমকি প্রদান করেন। তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা বেছে নেন। এ ঘটনার বিষয় স্ত্রীর রওশনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর আগে এই ৪ জন সুদের কারবারী আমার স্বামী আব্দুস সাত্তার তাদের হাতে বেধড়ক মারপিটে ও শিকার হন। তিনি আরও বলেন, ১৩ই জুলাই রবিবার সকালে আমার স্বামী আমাকে বলে তাড়াতাড়ি আমাকে ভাত দাও এবং আমার জামা কাপড় ঘুছিয়ে দাও আমি বাড়ি থেকে চলে যাব। এই কথা বলেই তিনি বাড়ির পাশে থাকা সরদারের মেহগীর বাগানে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টায় জনগণ তার এ ঘটনা দেখে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ঐদিন রাত ১০ঃ ৩০ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ঘটনা বিষয় তার মেয়ের শিরিনা বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বাবা খুব ভালো মনের মানুষ। আমার বাবাকে তারা বলেন টাকা না দিতে পারলে দা দিয়ে কুপিয়ে তিন টুকরো করে বস্তা ভরে রাখবো। তিনি আরো বলেন আমার বাবার বালিশের মধ্যে একটি সাদা ছোট কাগজে ৪ জন সুদে কারবারী নাম উল্লেখ করেন। এরা হলেন নাজমুল ইসলাম, তাজমুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আকরাম হোসেন, এদের সুদের টাকার কিস্তি দিতে না পারায় তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন সইতে না পেরে আমার বাবা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার বিষয় স্থানে বাসিন্দার সুলতান জামান বলেন, এই আব্দুস সাত্তার আমার প্রতিবেশী আমি শুনেছি কয়েকজনের কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়েছিল। তবে এরা এতদা অঞ্চলে আলোচিত সুদে কারবারী এরা প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে এবং যেখানে সেখানে তাকে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করতো বলে জানান। সেই কারণেই আব্দুস সাত্তার আত্মহত্যার পথ বেচে নেন।
আব্দুস সাত্তার এর মৃত্যুতে তার পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনার বিষয় তার পরিবার এবং স্থানীয় গ্রামবাসী এই আলোচিত সুদেকারবারীদের আটক করে সঠিক বিচারের জোর দাবি জানান।