ইমরান হোসেন বাগআঁচড়াঃ প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের মহিষা মাঠ পাড়া গ্রামের দেড় কিলোমিটার সড়ক দিয়ে জেলা উপজেলা ইউনিয়ন শহরে যাতায়াত করেন কয়েক’শ মানুষ। কিন্তু হাঁটু সমান কাঁদা মাড়িয়ে ওই দেড় কিলোমিটার কাঁচা সড়কে চলতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসী।
স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও গ্রামের সাধারণ মানুষকে ওই দেড় কিলোমিটার ‘কাঁদার খাল’পাড়ি দিয়ে ভয়ানক কসরত করে যাতায়াত করতে হয় স্কুল, কলেজ ও শহরে। বর্ষা মৌসুম এলে সড়কের ওপর হাটু সমান পানি কাঁদায় পরিপূর্ণ থাকে। অনেকে সড়কের কষ্টের ভয়ে বের হতে চান না বাড়ি থেকে। এই গ্রামের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা যেমন কষ্টকর ব্যাপার, তেমনি উৎপাদিত ফসল সড়কের এ অবস্থায় শহরে বিক্রি করতেও নিয়ে যেতে পারেন না তারা। কাঁচা সড়কটির বর্তমান দুর্দশার কারণে সাইকেল, মটরসাইকেল, গরুর গাড়ি, ইজ্ঞিন চালিত ট্রলি, নসিমন, ভটভটি, ভ্যান কিছুই চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
গ্রামটির বাসিন্দা অবসারপ্রাপ্ত মহিষা প্রথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী বলেন, বর্ষা মৌসুমে স্কুলের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কারণ একহাটু কাঁদা পেরিয়ে কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। কাঁদার মধ্যে পড়ে বাচ্চাদের জামা কাপড় বই খাতা নষ্ট হয়ে পড়ছে।
রওশন আলী আরও বলেন, বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় হাঁটু কাঁদার ভিতর দিয়েই স্কুলের বাচ্চাদের পারাপার হতে হয়।
এই গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর ইসলাম বলেন, সারা জীবন আওয়ামীলীগ করে যাচ্ছি কয়েক পুরুষ ধরে তারপরও এই রাস্তায় ইটের সলিং ও করে নিতে পারলাম না। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে হয় ঘাড়ে করে, নিয়ে আসতে হয় ঘাড়ে করে। বর্তমান সরকার যদি এই রাস্তার প্রতি একটু নেক নজর দিত তাহলে আমরা গ্রামবাসী বেঁচে যেতাম।
বেনোহার খাতুন ও আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, অসুস্থ রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে বিচ্ছিন্ন। আশপাশের চারিদিকে উন্নয়ন হলেও আমাদের এই রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি রাস্তাটি উন্নত করতো তাহলে খুবই উপকার হত।
এ ব্যাপারে মহিষা গ্রামের ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান বলেন, রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য উপজেলায় রাস্তার তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে বাজেট না আসা পযর্ন্ত উন্নয়ন করা সম্ভাব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেন, রাস্তাটিতে মাটির কাজ করানো হয়েছে এবং পরবর্তী বাজেট আসলে রাস্তাটিতে ইটের সোলিং করা হতে পারে।