আবদুল কাদির জীবন, সিলেট জেলা প্রতিনিধি :
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে হবে। লেখকরা এ দেশের গর্বিত সন্তান। আমরা যদি একটি স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলতে চাই, তাহলে আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে লেখকরা এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সাহিত্য সংস্কৃতির কাজে আমি সবসময় সহযোগিতা করতে চাই। ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম এগিয়ে যাক সেই প্রত্যশা।
তিনি গতকাল (২৬ এপ্রিল ২০২৪) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর দরগা গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে ‘ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০২৪’ প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
“সম্মীলনীর খোলা দুয়ার, আনুক প্রাণে সৃজন জোয়ার” স্লোগানে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত সংগঠনের ৩ বৎসর পূর্তী উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী “ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন ২০২৪’র প্রথম দিন।
ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম, সিলেটের সভাপতি, লোক গবেষক আবু সালেহ আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক শাহাবুদ্দিন ও কবি জাহানারা রেখার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সংগঠক শাহ মোঃ সফিনূর।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য, মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন কবি, লেখক, সংগীতজ্ঞ ও জ্ঞানতাপস প্রাকৃতজ শামীমরুমি টিটন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ, জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী ও গীতিকার ডাক্তার মোঃ জহিরুল ইসলাম অচিন পুরী, লেখক, গবেষক, বহুগ্রন্থ প্রণেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আ খ ম সিরাজুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দূর্নীতি বিরোধী অপরাধ সোসাইটির মহাসচিব ড. আলহাজ্ব শরীফ সাকী, আইনজীবী, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক ড. মুহাম্মদ আবু তাহের, কবি ও লেখক ড. দ্যুতি দত্তগুপ্ত (ভারত), কবি সিরাজ উদ্দিন (করিমগঞ্জ আসাম),
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্থ আলকোরান থেকে তেলাওয়াত করেন আবুল হোসেন, গীতা পাঠ করেন উত্তর কুমার চৌধুরী, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. এম শহীদুল ইসলাম এডভোকেট এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূলকার্যক্রম শুরু হয়।
স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশনা করেন কবি ইমামুল ইসলাম রানা, গীতিকার কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, কবি ছয়ফুল আলম পারুল, লিলু মিয়া, শিল্পী ওমর ফারুক, কবি নুরুল কবির, কবি সালাহ উদ্দিন মিঠু, মোঃ দেলওয়ার, কবি শমসু মিয়া, সৈয়দ আজমল হোসেন, নাজমুন্নাহার, এমএম মনিরুল ইসলাম, নাসরিন সুলতানা, সাজ্জাদ হোসেন, মুজিবুল হক, কবি নিলুফা ইয়াসমিন, কবি নুরুল হক, মাহজাবিন রাইসা মীম, কবি নাহিদা চৌধুরী, এসকে রেজাউল, মোঃ আবুল হুসাইন, ফারহান কবির দুলন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ, কবি ও আবৃত্তি শিল্পী সেনুয়ারা আক্তার চিনু, কবি পারভিন আক্তার, সৈয়দ আহমদ সাদি, সাংবাদিক ফাতাউর রহমান, কবি আবর মিয়া পীর, কবি গাজী আব্দুল কুদ্দুস শমসাদ, কবি তারেশকান্তি তালুকদার, কবি ও গীতিকার এন এ আশালতা, ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক আবদুল কাদির জীবন, ছড়াকার ছাদির হুসাইন, রায়হান কবির, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, সৈয়দ নিয়াজ আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পার্শবর্তী দেশ ভারত, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাহিত্যপ্রেমী লেখক ও সাহিত্য সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের প্রাঙ্গণ থেকে র্যালি বের হয়ে সিলেট নগরীর চার রাস্তার মোড় চৌহাট্রা ও সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘুরে অনুষ্ঠানস্থলে এসে সবাই মিলিত হন।